সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। দৃশ্যমান ও ‌অদৃশ্যমান শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী পহেলা বৈশাখ দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব বলেন। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারির কারণে দুই বছর আমাদের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারিনি। দুই বছর পর আমরা আবার আমাদের প্রাণের মেলা, হৃদয়ের উৎসবে হাজির হয়েছি।

এর আগে, শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল ৯টার আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ টিএসসিতে জড়ো হন। হলুদ শাড়িতে নারীরা ও লাল পাঞ্জাবিতে পুরুষরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এদিকে শোভাযাত্রা ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শোভাযাত্রা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সম্প্রীতি, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ দুই বছর পর পহেলা বৈশাখ-১৪২৯ অনুষ্ঠান তার প্রাণ চাঞ্চল্য, উৎসব ও আমেজের চিরাচরিত ছোঁয়া ফিরে পেয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব। এটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত উৎসব। মানুষের মধ্যে ধর্মের সম্প্রীতি, মানবিক বন্ধন সুদৃঢ় হোক সেই প্রত্যাশা করি।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান