সিভিল এভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রায় তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সিভিল এভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসির উদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তার মালিকানাধীন ভবন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় আট বছর কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এছাড়া, আদালত রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরে তিন কাঠা জমির ওপর আসির উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনসহ সব স্থাপনা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছে।

জামিনে থাকা আসির উদ্দিন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৪ মে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মাহফুজা খাতুন। ২০১৮ সালে মামলাটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থাটির আরেক উপ-পরিচালক মো. মনজুর আলম।

মামলার তদন্ত চলাকালে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ের সামনে থেকে আসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি দল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।