সীতাকুন্ডে আগুন : দগ্ধ আরও এক ফায়ার কর্মীর মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণে দগ্ধ “দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনী’র ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম (২৩) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্ট অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ নিয়ে অগ্নিকান্ডে এখন পর্যন্ত ১০ জন ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।
ফায়ারকর্মীসহ এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়াল ।
নিহত গাউসুল আজম সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার মো, আজগর আলীর পুত্র।
আজ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার তার মৃত্যুর খবর বাসসকে নিশ্চিত করেছেন।
শাহজাহান সিকদার জানান, চট্টগ্রামের সীতাকন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনায় দগ্ধ গাউসুল আজম মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় তিনি মারা যান।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ফায়ারকর্মী গাউছুল আজমের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে ১৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। এরমধ্যে আইসিইউতে দু’ জন।
ডা. আইউব হোসেন আরও জানান, ঘটনার পরদিন চট্টগ্রাম থেকে আজমসহ ৭ জনকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। অবস্থার অবনতি হলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। মাঝে কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু আবারও অবনতি হলে আজমকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
এদিকে, আজ সকালে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডিউটিরত অফিসার রাফি আল ফারুক বাসসকে জানান , নিহত গাউসুল আজম ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।