সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আবারও কয়লা আমদানি শুরু

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর আবারও কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে।

পরিবেশ আদালতে মামলা থাকায় এত দিন কয়লা আমদানি বন্ধ ছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে পাঁচ ট্রাক কয়লা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর পর্যায়ক্রমে ১০১ ট্রাক কয়লা আসে। আর আমদানি শুরু হওয়ায় করোনা সংকটে বেকার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

বড়ছড়া রাজস্ব কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর দাস বলেন, ‘দীর্ঘ সাত মাস পর কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। শ্রমিকদের মুখে ফুটছে হাসি। ধীরে ধীরে আমদানি বাড়বে, সেই সাথে আগের চিত্রও ফিরে আসবে।’

এদিকে, কয়লা আমদানি শুরু হলেও মেঘালয় থেকে নিয়মিতভাবে পণ্যটি আনতে সাহস পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা ও চীন থেকে বড় বড় শিল্পপতিরা কম দামে কয়লা আমদানি করছেন। মেঘালয় থেকে কয়লা পৌঁছতে প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকা। আর ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা ও চীন থেকে আমদানি করতে প্রতি টন কয়লার মূল্য দাঁড়ায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। মূল্যের ব্যবধান বেশি হওয়ায় আমদানিকারকরা মেঘালয় থেকে কয়লার এলসি করবেন কি না এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন।

তবে মেঘালয়ের কয়লার গুনগত মান ভালো বলে তারা জানান। আর আন্তর্জাতিক বাজারে টিকতে হলে মূল্যের বিষয়টি নিয়ে রপ্তানিকারকদেরও ভাবা উচিত বলে তারা মনে করেন।

বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ১৯৯১ সালে কয়লা আমদানি শুরু হয়। পরবর্তীতে এসব সীমান্ত দিয়ে চুনাপাথরও আমাদানি হয়। এসব কাজে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।