স্থানান্তরে ধীরগতি রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের

রাজধানীর প্রবেশপথে যানজট নিরসনের জন্য সরকার ঢাকার চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালকে স্থানান্তরের পরিকল্পনার গ্রহণ করার প্রায় এক দশক হয়েছে। কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে তেমন কোনও অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে টার্মিনালগুলি স্থানান্তরিত করার বিশাল সুবিধা রয়েছে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেল ব্যবস্থার কাছাকাছি হওয়ায়, মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি থাকার কারণে যাতায়াত দ্রুততর হবে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ এবং ফুলবাড়িয়ায় চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের স্থানান্তর কাজের তদারকি করবে বলে জানা যায়।

ডিটিসিএ সূত্র জানায়, সরকার ২০১০ সালে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করলেও, অজানা কারণে কাজটি এখনও শুরু হয়নি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাবতলী টার্মিনাল সাভারে, মহাখালী টার্মিনাল গাজীপুরের টঙ্গী, সায়েদাবাদ টার্মিনাল কাঁচপুর এবং ফুলবাড়িয়া এবং বাবুবাজারের টার্মিনাল কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

চারটি বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের পর, গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া, মিরপুর-১২, মোহাম্মদপুরের বাসিলা এবং সদরঘাটে ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী বাসের জন্য নতুন বাস টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। ডিটিসিএর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন টার্মিনাল এবং বাস ডিপো নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১০ টি সাইট প্রস্তাব করেছে ডিটিসিএর টেকনিক্যাল কমিটি।

রবিউল ইসলাম বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের স্থানান্তরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা রিপোর্ট (এফএসআর) প্রায় চূড়ান্ত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটি যাচাই-বাছাই করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এফএসআর চূড়ান্ত করতে আরো ২-৩ মাস লাগতে পারে। এফএসআর শেষ হওয়ার পর, বাস টার্মিনালগুলির স্থানান্তর একটি বিনিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। খবর-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান