স্বাধীনতা দিবসে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনী

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৫ থেকে ২৭ মার্চ পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা’ শিরোনামে দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনী সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। তবে এবারের প্রদর্শনীতে ফাঁসির মঞ্চ উন্মুক্ত করা হচ্ছে না।

পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার সকালে এসব তথ্য জানান, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। প্রদর্শনীতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভূমিকা ও সাতটি ধাপে কিভাবে স্বাধীনতা এলো তা স্থিরচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জেল ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জার্নির’ যৌথ আয়োজনে ১৭১টি ছবি নিয়ে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা প্রবেশমূল্য দিয়ে ভেতরে ঢুকতে পারবেন। কারাগারের অভ্যন্তরে আমদানি সেলে তিনটি গ্যালারি নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে একটিতে থাকবে ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন নিয়ে আলোকচিত্র, একটিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোকচিত্র এবং আরেকটিতে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ বেশ কিছু আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। টিকিট বিক্রির অর্থের একটি অংশ কাশিমপুর কারাগারে ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রী ও বই কেনায় ব্যয় করা হবে। ২৩ মার্চ ডে কেয়ার সেন্টারটি উদ্বোধন করা হবে। আগামী শুক্রবার তিনদিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের। তবে সেদিন কোন দর্শনার্থী ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নতুন প্রজন্ম গ্যালারি পরিদর্শন করে স্বাধীনতার ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে। এবারের প্রদর্শনীতে ফাসির মঞ্চ উন্মুক্ত করা হচ্ছে না। কারণ, যে অবস্থায় মঞ্চ আছে সেটির আকার খুব ছোট। কারাগারে অনেক লোকজন আসবে। যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই এখনই এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে না।

এর আগে, ২০১৬ সালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে গত ২-৫ নভেম্বর শত বছরের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগার সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।