হলি আর্টিজানের রায়কে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা আদালতপাড়া

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলা মামলার রায় দেবেন ঢাকার একটি আদালত।

রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এই নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়। আদালত পাড়ার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক সংখ্যক র‌্যাব -পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে তারা ২০ জনকে হত্যা করে। এছাড়াও তাদের গুলিতে ওইদিন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। পরে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। প্রধান আসামিদের মধ্যে পুলিশের অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর বিচার শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুন্যাল। ২১১ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দেয় ১১৩ জন।

নৃশংস ভীতিকর হলি আর্টিজান হামলা মামলায় গ্রেপ্তার ৮ আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন ২২ হন, যাদের ১৭ জনই বিদেশি। ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সেই সংকটের রক্তাক্ত অবসান ঘটে।২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় আলোচিত এ মামলার বিচার কার্যক্রম। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৭ নভেম্বর রায়ের দিন ঠিক করেন বিচারক মো. মজিবুর রহমান। আজ ২৭ নভেম্বর সেই রায় ঘোষণার তারিখ। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান