হাইকোর্টের বিচারপতি আইনজীবীদের কোর্ট ড্রেস নির্ধারণ করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন

কোর্ট ড্রেসের বাধ্যাতামূলক অনুষঙ্গ কালো কোর্ট ও গাউন ছাড়াই এবার সাদা শার্ট-প্যান্ট/শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন হাইকোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীরা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুকির মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের ভার্চুয়াল অংশগ্রহণে গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’র সিদ্ধান্তের আলোকে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলার শুনানীকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এবং আইনজীবীগণ ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই বিজ্ঞপ্তি বলবৎ থাকবে।’
এদিকে আজ সকাল থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৩৫টি বেঞ্চের পাশাপাশি ১৮টি হাইকোর্ট বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৩৫টি ভার্চুয়াল ও ১৮টি শারীরিক হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের মধ্যে ২৪টি দ্বৈত ও ১১টি একক বেঞ্চ। আর শারিরীক উপস্থিতির ১৮টি বেঞ্চের মধ্যে ১৩টি দ্বৈত ও ৫টি হচ্ছে একক বেঞ্চ। দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর আজ সর্বোচ্চ আদালতে শারিরীক উপস্থিতিতে শুরু হচ্ছে বিচার কার্যক্রম।
গত ৬ আগস্ট প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে এক ভার্চুয়াল ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় ভার্চুয়াল ও শারিরীক উপস্থিতিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিচালনার পাশাপাশি কোর্ট ড্রেসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন নিয়মিত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ ছিল।