হাজী সেলিমের ১০ বছর কারাদন্ডাদেশ হাইকোর্টে বহাল

সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর কারাদন্ডাদেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালতে দেয়া হাজি সেলিমের তিন বছরের যে কারাদন্ড হয়েছিল, সেই অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিননামা বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় ঘোষণা করে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও সাথী শাহজাহান।
গত ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করে উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদন্ড দেয় বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করে। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি হয়।