হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

সৃষ্টির আদি উৎস সন্ধান করে দেখো,সবটাতেই ভালোবাসা পাবে।
কথাটা মুনির মনীষী থেকে নয়,আমি বল্লাম।
দার্শনিকতা এটি মানুষের সুন্দর একটি বৈশিষ্ট্য কিংবা গুণ।এ বিষয়ে বলতে গেলে অনেক দূর যাবে।প্রসঙ্গ পাল্টাবে।

অবশ্য আমি কিছু বলতে চাই।ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ হোক সে যাই।

ভালোবাসা এবং সুন্দর আচরণ এমন এক মহৌষধ,যা কেবল শারীরিক নয় মানসিক আনন্দ কিংবা স্বর্গীয় অনুভূতি দিতে পারে।এটি কেবল আমি নই,যে কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ মানবে।বিশ্বাস করবে।

সত্যি কি বিশ্বাস করে বা মানে মানুষ?মানুষ তো অল্পতেই দাম্ভিকতা দেখায়।এবার প্রশ্ন কত পার্সেন্ট দেখায়।কত পার্সেন্ট দেখায় না।

ফেসবুকের কল্যানে বলবো কমবেশি সবাই ই দেখায়।তবে এটি আমাদের দেশে হতে পারে।বাহিরের দেশে এমন নাও হতে পারে।তারা হয়তো এসব অনুর্বর বিষয় নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করবে না।
আমরা করি।ফ্রাস্টেটেড হয়ে অনেক কথা বলি।ফেসবুকের কল্যানে আবেগকে কাজে লাগাই।অনিয়ন্ত্রিত হলে ফল মারাত্মক।

তবে ইউটিউবে সংবাদ মাধ্যমে জানলাম,যারা ফেসবুক নিয়ে কাজ করেন,গবেষণা করেন ;তাঁরাই সচেতন।অল্প সময়ই তারা ব্যবহার করে।কেন করে?ঐ যে সচেতনতা।সময় বাঁচানো নিয়ম ইত্যাদি।

যা বলছিলাম, ভালোবাসা ও সম্মানজনক আচার ব্যবহার সত্যি স্বর্গীয় বিষয়।একে ঔষধ বা টনিক যাই বলি না কেন এর প্রতিক্রিয়া দারুণ ভাবে কাজ করে।
যখন ভালোবেসে কোনো কাজ করবো, তার ফলও হবে অসাধারণ কিংবা অনুন্য সাধারণ।
ভালোবাসা হীণ কোনো কাজের ফলাফল নিশ্চুই ভালো হবে না।

এটিচুড অর্থাৎ ভাব দেখানো শুদ্ধ বাংলায় যদি বলি সেটি পছন্দ নয় কারো।তথাপি মানুষ যখন অন্যকে দেখায়, নিজের কিন্তু মনে হয় না কেমন?কিন্তু নিজে এটিচুড দেখলে তার মস্তিষ্ক টগবগ করবে ফুটন্ত পানির মতোন।এটিও মানুষের আরেকটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য!

মানুষ প্রতিক্রিয়াশীল।এসবে সে কোন না কোন ভাবে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

কেউ ভালোবেসে সদ্ভাবে ব্যক্ত করে।কেউ এটিচুডটাই বেছে নেয়।

তো আমি এটিচুড দেখাবো কার সঙ্গে।যে আমার মূল্য জানবে না তাকে তাই না?
কিন্তু যে অতন্ত বদমেজাজি, এক রোখা সেই এটিচুড দেখাতে বাধ্য তাও নয়।তার এই আচরণকে পাত্তা না দেয়া সর্বোত্তম নিয়ম।

সমাজে অনেক বন্ধু হবে।আর ফেসবুকের কল্যানে এখন সবারই বন্ধু অনেক।ফলোয়ার্স, ফেন কত কী।

সত্যি কি সবাই বন্ধু?
না একেবারেই নয়।

এই যে এত কথা বলি,কেউ ভাবতেই পারে,ইশ এত ওতো জ্ঞান ফলাচ্ছে। না জানি কি ভাবে নিজেকে ইত্যাদি।

সত্যি বলতে যে জ্ঞান বিতরণে কিছুটা হলেও কাজে আসবে সেটি ফলানো যেতেই পারে।
আমি নিজে রক্ত মাংসের মানুষ।আমার ভুল থাকবে না, এটা তো রীতিমতো বোকামি না স্বীকার করা।

আমার সত্যিকার বন্ধু বা প্রকৃত বন্ধু ,যে আমার ভালো চায় সে কিন্তু শুধরে দিবে আমাকে।পরামর্শ দিবে।মন ভালো ও খারাপের কারণ জেনে সদুপদেশ জানাবে।

বর্তমানে কাউসেলিং অর্থাৎ পরামর্শ বেশ কার্যকর।অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজের ভালোটা বুঝতে পারি না।নিজের মাথায় নেই বলে,দ্বারস্থ হই সেই সত্যিকার বা প্রকৃত বন্ধুর কাছে।

সামাজিক জীব বলে একা বা নিঃসঙ্গ জীবন কোনো মানুষের কাছে সুখময় নয়।

পরিবার,পরিজন,বন্ধু এমনকি আত্মার সম্পর্ক আছে এমন কারো সংস্পর্শ  জীবনের চরম দূর্দশায় সেই ঔষধি কাজ করে।যে ঔষধি গুণ অর্থাৎ ভালোবাসার কথা বলেছি শুরুতেই।

এটিচুড তাদের সঙ্গে দেখানো যায়,যারা মূলত আবহাওয়া বদলের মতো রঙ বদলায়।যদিও সমাজে এমন খোলস পড়ে থাকা মানুষ চেনা সহজ তো নয়।ক্ষমা করে দেয়া বা এড়িয়ে চলাই শ্রেয় তাদের।কোনোভাবে সুযোগ দেয়াটা ভুল নয় আমি বলবো পাপ।

বিচার,বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা সবারই আছে।হৃদয়ের কথা শোনো তুমি, বলো সে কী চায়,কাহার লাগি মন উতলা।

আথালিপাথালি মন হলে অবকাশ দাও তারে।আরেকটু ভাবো,করো না এমন ভুল বারেবারে।

আমাদের ফেসবুকের জগতটা বিশাল বা বড় মনে হলে তার চাইতে বড় চিন্তাভাবনার জগৎ।

ফেসবুকে লাইক,কমেন্টস,প্রতিক্রিয়া সত্যি আনন্দের।আর এটা জেনে-বুঝেই আমরা প্রত্যেকে আসি।নিজের কথা বলি।অন্যের কথা শুনি।

আবেগের জায়গা থেকে মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের ভাবনা,স্বপ্ন,দুঃখ ও সুখের কথা বলি।তাহলে অন্যেরটা শুনতে দোষ কোথায়?সেখানে কেন এলার্জি কিংবা হিংসে।অহেতুক প্রতিযোগিতা।

আসলে এসব নিয়ে পুরো সময় চলে যাবে অনর্থক।মোটের ওপর যতটা সমর্থনযোগ্য ও সামর্থ্যের যথাযথ ততটাই পালন করা বাঞ্চণীয়।

হাসিনা সাঈদ মুক্তা, ক্যান্টনমেন্ট,ঢাকা