১ অক্টোবর থেকে ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মেয়র আতিক

আগামী ১ অক্টোবর থেকে ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

কালশীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

রবিবার সকাল পৌনে ৭টায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে ডিএনসিসির বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, সড়ক মেরামত, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ, অবৈধ ফুটপাত দখল, অবৈধ বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু হয় এই পরিদর্শন। এরপর মিরপুর, কচুক্ষেত, মগবাজার, গুলশান হয়ে বনানীতে শেষ হয় বিশেষ এই পরিদর্শন কার্যক্রম।

সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে যান আতিক। সেখানে একটি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন মেয়র।

এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানার পাশে ডাম্পিং করে রাখা গাড়িতে পানি জমে এডিস মশার লার্ভা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

মেয়র উত্তরায় খিজির খাল পরিদর্শন শেষে সকাল ৮টায় মিরপুরের কালশী খাল এবং আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন। কালশী এলাকার আশপাশের গলিতে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

কালশীতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এরপর পরিদর্শনে বের হলে সাথে ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাক, লোডার, বুলডোজার থাকবে। সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলে তা সাথে সাথে নিলামে বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা এ অভিযান শুরু করব।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন সুন্দর ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে তা নষ্ট করছে। এই শহরে এগুলো বরদাশত করা হবে না। ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্বের আওতা বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযান শুরু হবে।’

‘আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যারা ট্যাক্সের আওতায় আসেনি তাদেরকে ট্যাক্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা নিব। আমরা আজ শুরু করলাম, এটি চলমান থাকবে,’ যোগ করেন আতিক।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘কালশীতে এক সময় অনেক জলাবদ্ধতা হতো, এখন আর সেরকম নেই। একইভাবে বনানী এয়ারপোর্ট রোডের জলাবদ্ধতাও নিরসন করা হয়েছে। আশকোনায় নতুন খাল খনন করা হয়েছে। মেট্রোরেল প্রজেক্টের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনেরও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এরপর গুলশান-১ ও গুলশান-২ এর মাঝে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সামনের ফুটপাথ দখল করে রাখা নির্মাণ সামগ্রী দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন মেয়র।

এ সময় এভাবে ফুটপাত দখল করে বালু রাখায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ভৎর্সনা করেন মেয়র। কাউকে না পাওয়ায় বালু জব্দ করা হয়। একই সাথে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সকল অবৈধ বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড অপসারণ করার নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।