২০১৭ সালে ৪,৯৭৯ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭ হাজার ৩৯৭

২০১৭ সালে ৪ হাজার ৯৭৯ টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৭ জন। আর আহত হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৯০ জন। শনিবার ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ২২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ও আহতের হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৩৯৭ জন নিহত ও ১৬ হাজার ১৯৩ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিদায়ী ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে ছোট-বড় ৪ হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ২৩ হাজার ৫৯০ জন যাত্রী, চালক ও পরিবহন শ্রমিক সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৩৯৭ জন। আহত হয়েছে ১৬ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে হাত, পা বা অন্য কোনো অঙ্গ হারিয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়েছে ১ হাজার ৭২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে জিডিপির প্রায় দেড় থেকে দুই শতাংশ।

এ সময় ১ হাজার ২৪৯টি বাস, ১ হাজার ৬৩৫টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ২৭৬টি হিউম্যান হলার, ২৬২টি কার, জিপ ও মাইক্রোবাস; ১ হাজার ৭৪ টি অটোরিকশা, ১ হাজার ৪৭৫টি মোটরসাইকেল, ৩২২টি ব্যাটারী চালিত রিকশা, ৮২৪টি নছিমন-করিমন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

সংগঠিত দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পথচারীকে চাপা, ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১ দশমিক ৯ শতাংশ খাদে পড়ে, ২ দশমিক ৮ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সংগঠিত হয়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হচ্ছে- বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, মহাসড়ক ও রেলক্রসিংয়ে ফিডার রোডের যানবাহন উঠে পরা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকায় রাস্তার মাঝ পথে পথচারীদের যাতায়াত।

আজকের বাজার : এলকে/ ১১ জানুয়ারি ২০১৮