২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রাইম ব্যাংক এর নিট মুনাফা বেড়েছে ১৮%

২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড সলো ভিত্তিতে ৫১ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৮% বেশি।

২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে সালে সলো ভিত্তিতে ব্যাংকটি ১৬২ কোটি টাকা পরিচালনা মুনাফা অর্জন করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ১৩৯ কোটি টাকার চেয়ে ১৭% বেশি।

৩১ মার্চ ২০২০ এ সলো ভিত্তিতে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ টাকা, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ০.৩৮ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে সালে সলো ভিত্তিতে শেয়ার প্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়ায় ২৪.১১ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২৩.৫০ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২০ এ সলো ভিত্তিতে শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়ায় ২.১৭ টাকা, যা পূর্ববতী বছরের একই সময়ে ছিল ১.৭৪ টাকা।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক ৪ জুন, ২০২০ তারিখে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্নিংস ডিসক্লোজার অনুষ্ঠান আয়োজন করে, যা ব্যাংকটির ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বর্তমানের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য জুম ওয়েববিনার ওয়েবকাস্টের সাহায্যে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব রাহেল আহমেদ ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তাবৃন্দ ২০২০ সালো প্রথম তিন মাসের আর্থিক ফলাফল উপস্থাপন করেন এবং অনলাইনে অংগ্রহণকারী দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বিশ্লেষক, পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পার্টনার ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ফয়সাল রহমান, হেড অব কনজিউমার ব্যাংকিং এএনএম মাহফুজ, হেড অব এমএসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ এম. ওমর তৈয়ব, হেড অব টিবি, এসএফডি ও আইডি শামস্ আবদুুল্লাহ মোহাইমিন, সিওও আবদুল হালিম, হেড অব ট্রেজারি এসকে. মতিউর রহমান, হেড অব আইসিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন এবং হেড অব ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন্স নাজমুল করিম চৌধুরী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাহেল আহমেদ বলেন, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য দেশের ব্যাংকিং কর্মকান্ড ও ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি মন্থর হওয়া সত্তে¡ও প্রাইম ব্যাংক ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আশাব্যঞ্জক ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছে। এই দুর্যোগের সময়ে আমাদের কর্মীবাহিনী, গ্রাহক ও কম্যুনিটির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ন্যূনতম কর্মকর্তাদের সাহায্যে শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ফ্রন্টলাইনে নিয়োজিতদের ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তাদের বাসা থেকে কাজ করা অব্যাহত রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে গ্রাহক সেবার মানে কোন ছাড় দেয়া হবে না। ব্যাংকের প্রতি অটুট আস্থা রাখার জন্য তিনি সম্মানিত গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি, এই প্রাণঘাতি রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সবাইকে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি সদা সতর্ক থেকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, তাহলে অবশ্যই এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠতে পারবো। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই সংকট কাটিয়ে ওঠে আমরা আবার ব্যবসায়িক গতিশীলতা ফিরে পাবো।”