২২ অর্থ-বছরের জন্য ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন এনইসি’র

জাতীয় অথর্নৈতিক পরিষদ (এনইসি) আজ চলতি ২০২২ অর্থ-বছরের জন্য ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার  সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন করেছে। এতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘এনইসি চলতি অর্থ-বছরের জন্য ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা আরএডিপি অনুমোদন দিয়েছে।’
এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষ ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশন সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদ্বীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এডিপি’র মূল বরাদ্দ ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪.১৪ কোটি টাকা থেকে ১৭ হাজার ৭৭৪.১৪ কোটি টাকা (এডিপি’র মূল বরাদ্দের ৭.৮৯ শতাংশ) হ্রাস করা হয়েছে। বিদেশী অর্থায়ন থেকেই এই ১৭ হাজার ৭৭৪.২৩ কোটি টাকা কর্তন করা হয়েছে। এর ফলে এখন বিদেশী সূত্র থেকে প্রাপ্ত এই অর্থায়ন দাঁড়াল ৭০ হাজার ২৫০ কোটিতে। আর স্থানীয় সূত্র থেকে এই অর্থায়ন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনগুলোর বরাদ্দ ৯ হাজার ৬১৩.৬৮ কোটি টাকা বিবেচনায় আনলে,  চলতি অর্থ-বছরে সার্বিক আরএডিপি বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩.৬৮ কোটি টাকা। গত অর্থ-বছরে (২০২১) আরএডিপি’র পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, আজকের আরএডিপি বৈঠকে দেশের অর্থনীতির ছয়টি ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে- যেগুলো গত অর্থ-বছরে প্রায় ৭ শতাংশ জিডিপি অর্জন করেছিল। কৃষি খাতের খুব ভাল অবদানের কারণেই সরবরাহ চেইন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গত বছর মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর এ কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের, এমনকি বেশ কিছু উন্নত দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে খুব সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।