৯ বছর পর মামলার রায়, তিনজনের ফাঁসি

দিনাজপুর বিরামপুরের ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডল (৫০) হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। একইসাথে মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১ জনকে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ মো. আনোয়ারুল হক এই রায় প্রদান করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ী (মির্জাপুর) গ্রামের মৃত সাহেব উদ্দীনের ছেলে মো. মোসলেম উদ্দিন (৪৫), একই এলাকার মো. জাফর উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮) ওরফে বুলবুল ও মো. মামুনুর রশিদ (৩৫) ওরফে মিলন।

মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন- একই এলাকার মো. মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ওরফে বাবু (২৫)। মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়া ১ জন হলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মেহেরুন (২০)।

সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর খয়েরবাড়ী মৌজার ১ দশমিক ৩৩ শতকের ১টি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিহত ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সাথে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টায় আসামিরা ওই পুকুরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। এ সময় নিহত ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডল আসামিদের সাথে কথা বলতে গেলে আসামিরা রাম দা, কুড়াল, হাসুয়া ও ছোড়া দিয়ে ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডলের ওপর হামলা চালায় এতে ঘটনাস্থলে ওয়াকিল উদ্দীন মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ বিলকিছ বানু ঘটনার পরদিন ২৬ জুন বিরামপুর থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিরামপুর থানার করা ওই মামলা নং- ২০, জিআর নং- ১২৯/১১।

বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে মামলার ৫নং আসামি মো. ময়েজ উদ্দীন মারা গেলে বিচারক তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন।

মামলা বাদি বিলকিস বেগম ৯ বছর পর এই রায় পাওয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন- আল্লাহ রহমতে এই বিচাকের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. আজিজুর রহমান এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম সরকার।

আজকের বাজার/এমএইচ