পূর্বাচল আমেরিকান সিটি’র একক আবাসন মেলা ঢাকার ওয়েস্টিন, লা মেরিডিয়ান ও সোনারগাঁও হোটেলে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটির একক আবাসন মেলা আগামী ১৩ ফেব্রæয়ারী ২০২০ থেকে চারদিনব্যাপি ঢাকার হোটেল দি ওয়েস্টিন, লা মেরিডিয়ান ও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হতে যাচ্ছে। এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশে আবাসন খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা এসেটস্। এ মেলা উপলক্ষে ইউএস-বাংলা এসেটসের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে প্লট বুকিং দিলেই থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

আগামী ১৩-১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ হোটেল দি ওয়েস্টিন ঢাকা, সিলভার রুম (লেভেল-২), গুলশান সার্কেলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে লা মেরিডিয়ান ঢাকা, এলএম এনট্রেসল (ফ্রন্ট সাইড-গ্রাউন্ড ফ্লোর), ৭৮/এ এয়ারপোর্ট রোড, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ঢাকা, চিত্রা হল (২য় তলা), ১০৭ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকায় ইউএস-বাংলা এসেটস্ এর একক আবাসন মেলা চলবে। সকল ভেন্যূতে প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

ইউএস-বাংলা এসেটস্ ঢাকার অতি সন্নিকটে পূর্বাচলে গড়ে তুলেছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। আধুনিক শহরের সকল সৌন্দর্য্য আর চাহিদার অপূর্ব মিলনমেলার সংমিশ্রন থাকছে এ প্রকল্পে। প্রকল্পে রয়েছে সবুজে ঘেরা দৃষ্টি নন্দন সুবিশাল খেলার মাঠ, যার আয়তন ২০ বিঘা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রকল্পে থাকছে সোলার হোম সলিউশন। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছ বেঞ্জামিনা ফাইকাসসহ আরো অনেক বিদেশী গাছের সমন্বয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্পের সবুজায়নের কাজ। প্রকল্পজুড়েই থাকছে তারবিহীন সিসি ক্যামেরা, সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমসহ যাবতীয় অত্যাধুনিক সিকিউরিটি ব্যবস্থা। দেশের অন্যতম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ”গ্রিন ইউনিভার্সিটি”র সবুজে ঘেরা মনোরম স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।

আধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সিস্টেমে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল অধিক সুরক্ষা দেয়। দেশের আবাসন প্রকল্পে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি-ই প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল নির্মান করতে চলেছে। আগামীর কানেক্টিভিটি হিসেবে ঢাকা পূর্বাচল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সুবিধা, ঢাকা-সিলেট বাইপাস মহাসড়কের সাথে সংযোগ, এশিয়ান হাইওয়ের (চট্টগ্রাম-মায়ানমার-চীন) পাশেই প্রকল্পের অবস্থান। আবাসন প্রকল্পে জৈব বর্জ্য ডিকম্পোস্ট প্রযুক্তি দিয়ে উৎপাদিত হবে বিদ্যুৎ। গ্রিন এনার্জির প্রতি ইউএস-বাংলা বরাবরাই মনোযোগী।

এ প্রকল্প বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৬৪ ফুট প্রশস্থ রাস্তা, ১৫০ ফুট প্রশস্থ লেক, লেক সাইট পার্ক, ১২ ফুট গ্রিন জোন, ১০ ফুট ওয়াক-ওয়ে, উন্নত ট্রাফিক সিস্টেম, নাইন হোল গলফ্ কোর্স, আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম, রিকসা ফ্রি সিটি কিন্তু থাকবে ইলেকট্রিক ভেহিকেলস। প্রকল্পে সবুজায়নসহ লেক নির্মানের কাজ চলছে।

প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী থাকবে- ৫৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড বোর্ডিং স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন স্কুল, সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স টিম, এমিউজমেন্ট পার্ক, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ইনডোর স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিস যেখানে থাকবে রুম ফ্যাসিলিটি, সেমিনার এন্ড সিম্পজিয়াম ইত্যাদি সুবিধা, আউটডোর প্লে গ্রাউন্ড, হেলিপোর্ট।

একটি আবাসন প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করার প্রয়াসে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে থাকছে-আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার, ফাইভ স্টার হোটেল, ট্রেড সেন্টার, সুপার শপ, সেন্ট্রাল মসজিদ, নিজস্ব পাওয়ার স্টেশন, ট্রিপল ওয়ান সিস্টেম স্পেশাল নাম্বার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি আধুনিক আবাসন প্রকল্পে এই প্রথম একই সঙ্গে ডুপ্লেক্স জোন ও নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ কনডোমিনিয়াম যা উন্নত বিশে^র আদলে তৈরী করা হবে।

বর্তমানে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির বিভিন্ন বøকে বাউন্ডারি ওয়াল সহ আবাসিক/ কমার্শিয়াল/ হাসপাতাল/ ইন্সটিটিউশন/শপিং কমপ্লেক্স/কনভেনশন সেন্টার/ ব্যাংক/ কর্পোরেট অফিসের জন্য রেডি প্লট এককালীন মূল্য/ কিস্তিতে বিক্রয় চলছে। মূল্য পরিশোধের সাথে সাথেই রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তর এর সুযোগ থাকছে।

ইতিমধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি-সহ প্রকল্পে ইউএসবি এক্সপ্রেসের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলছে। খুব শীঘ্রই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল এর নির্মান কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়া ইউএস-বাংলা গ্রæপের প্রধান কার্যালয় এর স্থায়ী ঠিকানা হবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি।