উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পি মান্না দে’র গাওয়া কালজয়ী গান ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ এর বিখ্যাত সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ এখন ঢাকায়। বাংলাদেশের বিশিষ্ট গীতিকার পান্নালাল দত্তের ব্যাক্তিগত আমন্ত্রণে তিনি আজ দুপুরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সুপর্ণকান্তি আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে পান্নালাল দত্তের গুলশানের বাসায় অবস্থান করবেন।
পান্নালাল বাসসকে জানিয়েছেন, তার আমন্ত্রণে সুপর্ণকান্তি ঘোষ ঢাকায় প্রথম এসেছেন। যদিও সুরকারের বাবার মামা বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে। প্রায় ৬৪ বছর বয়সী সুপর্ণকান্তি এর আগে কখনো বাংলাদেশে না আসলেও এ দেশ নিয়ে তার রয়েছে প্রচন্ড অনুরাগ ।এখানে অবস্থান কালে, নিজের একটি গানের সুরও করবেন এই কালজয়ী সুরকার।
সুপর্ণকান্তি ঘোষ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে আসতে পারায়, তার সন্তোষ্টির কথা জানালেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও তার সুর করা গানের আনেক ভক্ত আছেন এবং এখনো তারা নিয়মিত এসব গান শুনেন বলে তিনি জানেন। বছর দুয়েক আগে, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও একটি গানের সুর করেছেন তিনি।
সুপর্ণকান্তি এই উপমহাদেশের কিংবদন্তি সুরকার নচিকতা ঘোষের ছেলে। খুবই নামকরা সুরকার তিনি। সুপর্ণকান্তি যখন খুবই ছোট তখন ঠাকুরমার ঝুলির দুটি জনপ্রিয় গল্পকে সুরে বেঁধেছিলেন নচিকেতা ঘোষ। সেই দুটি সঙ্গীত আলেখ্যর দুটি চরিত্রে গান গেয়েছিলেন সুপর্ণকান্তি। সেই তাঁর প্রথম স্টুডিওতে যাওয়া। এছাড়াও সাত আট বছর বয়স থেকে বাবার সুরারোপিত গানে বঙ্গো বাজাতেন তিনি।
১৯৭৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার আর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং তাঁর বাবার ফেলে যাওয়া অনেক গানে সুর দিতে শুরু করেন সুপর্ণকান্তি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আরতি মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় , ভুপেন হাজারিকা ,হৈমন্তি শুক্লাসহ বহু বিখ্যাত শিল্পী সুপর্ণকান্তির সুরে গান করেছেন। মান্নাদের গাওয়া আর একটি কালজয়ী গান ‘ সে আমার ছোট বোন’ এবং ভুপেন হাজারিকার ‘মালিক সারা জীবন কাঁদালে আমায়’ এর সুরকারও তিনি। যদিও তাঁরই সুরে ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ এখনও বাংলা সঙ্গীতের জগতে একটি কালজয়ী গান। খবর-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান