পরিচালক সমিতিকে বাপ্পারাজের চ্যালেঞ্জ

পরিচালক সমিতি থেকে পাঠানো নোটিশ পেয়েছেন চিত্রনায়ক ও নির্মাতা বাপ্পারাজ। তবে চিঠিটি বাপ্পারাজ গ্রহণ করেননি। পাল্টা সমিতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন নায়করাজের ছেলে। বাপ্পারাজ জানিয়েছেন, তার সদস্যপদ যেন বাতিল করা হয়। তিনি এই সমিতির সদস্য থাকতে চান না। পরিচালক সমিতির সদস্য না হয়েও যে সিনেমা নির্মাণ করা যায় সেটা প্রমাণ করবেন তিনি।পরিচালক সমিতি নিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন।

গত এপ্রিল মাসে পরিচালক সমিতিকে হেয় করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় সমিতি থেকে গত ১৪ মে সাত দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় বাপ্পারাজকে। একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পারাজ বলেছিলেন, যদি ফিল্মের উন্নয়ন হয় কারও দ্বারা, সেটা পরিচালক সমিতির দ্বারা সম্ভব। পরিচালক সমিতির হাতে অনেক ক্ষমতা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্রকে চাইলে তারা অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। বুস্টিং, প্রমোটিং এগুলো সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ারে রয়েছে। অথচ তারা কোনো কাজ না করে একজন আরেকজনের পেছনে লাগছে। তারা কোনো কাজের কাজ করছে না।

এই বক্তব্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাপ্পারাজ পরিচালক সমিতিকে হেয় করেছেন বলে মনে করছে পরিচালক সমিতির নেতারা। নোটিশের জবাবে বাপ্পারাজ নিজেই যখন আর পরিচালক সমিতিতে থাকতে চাইছেন না তখন বিপাকে পড়েছে সমিতি।

বাপ্পারাজ বলেন, পত্রিকায় আমি যেভাবে বলেছি সেভাবে লেখা হয়নি। কিন্তু যে কথাগুলো লেখা হয়েছে সেগুলো আমি পরিচালক সমিতিকে আগেও অন্যভাবে বলেছি। তখন তারা আমাকে নোটিশ পাঠায়নি। এখন পাঠিয়েছে, এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করব না।

বাপ্পারাজের এমন বক্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছে সমিতির নেতারা। নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে বাপ্পারাজকে নোটিশ পাঠানো নিয়ে এফডিসিতে এখন চলছে নানা রকম সমালোচনা। পরিচালক সমিতির একাধিক নেতা এখন বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র নির্মাতা বলেন, সমিতি থেকে শাকিব খান ও শামীম আহমেদ রনিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাপ্পারাজকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নায়করাজের ছেলে বিষয়টিকে সহজভাবে নেননি। এখন পরিচালক সমিতি বিষয়টি কীভাবে সমাধান করবে সেটা দেখার বিষয়।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৭ মে ২০১৭