কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটির অবৈধভাবে অভিবাসীদের জন্য উল্লেখিত সাধারণক্ষমা প্রযোজ্য হবে।
বুধবার ২৪ জানুয়ারি কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মাদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৯ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পযন্ত কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট আইনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা যাদের নেই সে সকল প্রবাসী কারো অনুমতি ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন।
আর যে সকল অবৈধ প্রবাসী কুয়েতে বৈধভাবে অবস্থান করতে ইচ্ছুক তারা অনুমতি প্রদানের শর্তগুলি পূরণ করে জরিমানা দিয়ে কুয়েতে বৈধ ভাবে থাকতে পারবেন।
কুয়েত ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কালো তালিকাভুক্ত অপরাধী ছাড়া যে সকল প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তারা প্রতিদিনের জন্য ২ দিনার জরিমানা দিয়ে দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে বিনা বাধায় কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন। অন্যদিকে যারা কয়েক বছর ভিসা নবায়ন না করে কুয়েতে অবৈধ হয়ে রয়েছেন তারা এককালীন ৬০০ কুয়েতি দিনার জরিমানা দিয়ে কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন।
তথ্যমতে সাধারণ ক্ষমায় বিভিন্ন দেশের ১৩০,০০০ অবৈধ অভিবাসীর বৈধ হওয়া ও দেশ ত্যাগের সুযোগ পাবেন। আর অনুমানিক ২০ থেকে ২৫ হাজারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ে মধ্যে যারা আইন মেনে কুয়েত ত্যাগ করবেন তারা আবার বৈধ ভাবে কুয়েতে আসতে পারবেন।
আর যদি রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘন করা প্রবাসীরা এই সময়ে কুয়েত ছেড়ে না গেলে আইন অনুযায়ী তাদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তারা আর কখনওই কুয়েতে যেতে পারবেন
জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগের এই সুযোগটি সর্বশেষ ২০১১ সালে দেওয়া হয়েছিলো। সেই সুযোগ আবার দেওয়া হয়েছে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে সেই দেশে অবৈ ভাবে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের সরাসরি দূতাবাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এজন্য তাদের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্ট বা এনআইডি বা জন্মসনদের ফটোকপিসহ আলোচ্য সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আজকের বাজার: এলকে/২৪ জানুয়ারি ২০১৮