অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবারো দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম।
বিএনপির সাবেক এই এমপি মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টায় ঢাকার সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হলে দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোশারফ হোসেইন মৃধা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। কমিশনের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর তার ছবি তোলার সময় আলোকচিত্র সাংবাদিকদের তা প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেন।
হাসেমের ছেলে আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলকে দুই বছর আগে গ্রেফতার করেছিল দুদক। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক রাসেল পরে জামিনে ছাড়া পান। তখন হাসেমের আরেক ছেলে আশফাক আজিজ রুবেলকেও তলব করেছিল দুদক। হাসেম ও তার দুই ছেলেকে এর আগে চিনি আমদানিতে দুর্নীতির একটি অভিযোগে ২০১৪ সালে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর হাসেমকে ডেকে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ওই দিনও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তিনি।
পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের বিরুদ্ধে ‘রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখলসহ দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার’ অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে নথিতে বেশি দাম দেখিয়ে তিনি শত শত কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করা হাসেম গত পাঁচ দশকে তার বাণিজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন আবাসন, আমদানি-রপ্তানি, পার্টিকেল বোর্ড, ইস্পাত, প্লাস্টিক, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন খাতে।
আজকের বাজার/এমএইচ