অভিবাসন ইস্যুতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

অভিবাসন ইস্যুতে সৃষ্ট বিতর্কের সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার বিষয়ে সরকারি কমিটিকে ‘অসাবধানতা বশত বিভ্রান্ত’ করার অভিযোগ উঠেছে। খবর গার্ডিয়ানের।

গণমাধ্যমটি জানায়, সোমবার পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভুল তথ্য দেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।

গত ২৫ এপ্রিল অ্যাম্বার রাড এমপিদের বলেন, ব্রিটেন থেকে কাউকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। এ বিষয়ে তিনি জানেন না।

গত শুক্রবার গার্ডিয়ানের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে যে অ্যাম্বার রাড এ বিষয়ে জানেন।

গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমটি প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের কাছে পাঠানো একটি চিঠি প্রকাশ করে। এতে অ্যাম্বার রাড যুক্তরাজ্য থেকে অভিবাসীদের বিতাড়নের হার ১০ শতাংশে উন্নীত করতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের কাছে ফোন করে অ্যাম্বার রাড বলেন, ‘আমার কার্যালয়ে চিঠিটির ব্যাপারে আমি জেনেছি, যাতে (বিতাড়নের) লক্ষ্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। আমার এ বিষয়ে আগেই জানা উচিত ছিল এবং আমি এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি।’ এরপর নিজের পদত্যাগের কথা জানান অ্যাম্বার।

১৯৪০ ও ১৯৭০-এর দশকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেয় এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। সম্প্রতি এদের কিছু অংশ এবং তাদের স্বজনদের অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়, যা ‘উইন্ডরাশ স্ক্যান্ডাল’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। উইন্ডরাশ এম্পায়ার একটি জাহাজের নাম, যাতে করে ১৯৪৮ সালে ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে সহস্রাধিক অভিবাসী ব্রিটেনে আশ্রয় নেয়।

আরজেড/