অভিশংসন তদন্তের ভবিষ্যৎ কি?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তের শুনানীতে সাবেক হোয়াইট হাইজ কাউন্সেল ডোনাল্ড ম্যাকগানকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন ফেডারেল আদালতের বিচারক।

এ পর্যন্ত যতোগুলো শুনাণী হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে ডেমোক্রটরা দাবী করছেন, প্রেসিডেন্ট যে দায়ী তা পরিস্কার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর রিপাব্লিকান সতীর্থরা বলছেন, কিছুই প্রমান হয়নি। এ অবস্থায় অভিশংসন তদন্তের ভবিষ্যৎ কি, তার প্রভাব কতোটা পড়বে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, অভিশংসন প্রক্রিয়াটি কি, কিভাবে হয়; এসব নিয়ে এই রিপোর্টটি।

বিচারক কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন বলেছেন শুনানী থেকে হোয়াইট হাউজের বর্তমান বা সাবেক কোনো কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই।

জ্যাকসনের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপীল করার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। অপরাপর যাদেরকে শুনানী থেকে বিরত রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন পররাস্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন এবং ভারপ্রাপ্ত চীফ অব ষ্টাফ মাক মালভেনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জুলাই মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনিস্কির যে ফোনালাপ হয়েছিল তাতে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিপরীতে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পর্কে কোনো তথ্য চাওয়া হয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে ঐ সকল কর্মকর্তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করেন ডেমোক্রেট আইনপ্রনেতারা। সেই কারনেই তাদেরকে শুনানীতে আনতে চান তারা।

ম্যাকগান ২০১৮ সালের অক্টোবরে হোয়াইট হাউজের কাউন্সেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তদন্তের সময় বিশেষ কৌশূলী রবাট মুলারের রিপোর্টে ম্যাকগান সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি তদন্তকারীদেরকে বলেন ট্রাম্প মুলারকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন, যদিও পরে তিনি তা অস্বীকার করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিশংসন তদন্তের শুনানী প্রসঙ্গে বারবারই বলেছেন ঐ তদন্তে কিছুই পাওয়া যাবেনা। তিনি কোনো ভুল করেন নি। তিনি একে ধাপ্পা এবং ছিদ্রান্বেষণ বলে মন্তব্য করেন।

ডেমোক্রেট আইনপ্রনেতারা গত ক’দিনের শুনানীর সূত্র ধরে বলছেন সবার বক্তব্যে এটা পরিস্কার হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যাক্তগত স্বার্থে ক্ষমতার ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। রিপাবলিকানরা বলছেন কিছুই প্রমানিত হয়নি।

সোমবার হাউজ ইন্টেলিন্স কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাডাম শিফ এক চিঠিতে বলেছেন কমিটি এ বিষয়ক রিপোর্ট তৈরী করছে। ঐ রিপোর্ট জুডিশিয়ারি কমিটিতে যাবে এবং সেই কমিটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রতিবেদন লিখবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসন তদন্তের ফলাফল কি হবে তা নিয়ে শংসয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। অভিশংসন বিষয়ে যুক্তরাস্ট্রের সংবিধানে যেসব ধাপ উল্লেখ করা আছে সেই অনুযায়ী এগুচ্ছেন সকলে।সূত্র:ভিওএ

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান