সড়কে আলাদা রিকশা লেন তৈরির নির্দেশ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ। পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুববুস এক বিবৃতিতে বলেন, নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আর আমাদের নয় বছর আন্দোলনে অযান্ত্রিক বাহনের লেন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে জেনে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ নয় বছর ধরে পৃথক সাইকেল লেনের দাবী জানিয়ে আসছি, তবে আমরা সাইক্লিস্টরা যা পারিনি, রিকশা-ঠেলাগাড়ির চালক ভাইরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। সেইসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সাধারণ মানুষের এই দাবিটি বিবেচেনায় নেয়ার জন্য।
তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাতে চাই যে, অযান্ত্রিক যানের জন্য নির্মিতব্য আলাদা লেনে যেন বাইসাইকেল চলাচল করার সুযোগ দেয়া হয়।
আমিনুল ইসলাম টুববুস বলেন, ঢাকার রাস্তার সিংহভাগ দখল করে চলাচল করে যান্ত্রিক যানবাহন। আর তাদের বেপরোয়া চলাচলই যানজটের প্রধান কারণ। দেশের উচ্চপর্যায়ের কাউকেই রিকশা বা সাইকেল চলাচল করতে হয় না। তাই কঠোর আইন-কানুন সবসময়েই অযান্ত্রিক যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে দেখা যায়। তিনটি পরিবেশ বান্ধব যানবাহন, যেমন রিকশা, বাইসাইকেল, টমটম গাড়ির জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। অথচ বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ রোধে এসব যানবাহনের জন্য পৃথক লেন বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরী।
বিবৃতিতে বলা হয়, উন্নত বিশ্বের মত দেশের রাজধানীতে রিকশা চলাচল করে না, একথা সত্য, তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনেকটাই আলাদা। তদুপরি, উন্নত বিশ্বেও পৃথক সাইকেল লেন রয়েছে। আমাদের সড়কগুলোতে যদি পৃথক সাইকেল লেন বাস্তবায়ন করা হয়, যানজট, জনদুর্ভোগ এবং গণ পরিবহনের চাপ কমে আসবে। ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ সাইকেলসহ পরিবশে বান্ধব যানবাহনে উৎসাহিত হবে।
আজকের বাজার/এমএইচ