অর্থদন্ডসহ আইন পেশায় ৩ মাস নিষিদ্ধ ইউনুছ আকন্দ : আপিল বিভাগ

বিচার বিভাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার দায়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দকে ৩ মাস আইন পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা না দিলে তাকে ১৫ দিন কারাগারে কাটাতে হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

তার আগে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণা করেন।
আদেশের পর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া আজকের আদেশের পর আইনজীবীসহ সবারই সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, আজকের আদেশটি একটি বার্তা।

গতকাল রোববার আইনজীবী ইউনুছ আলীর বিষয়ে শুনানির পর বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার আদেশের জন্য ধার্য ছিল।

আদালতে শুনানিতে অংশ নেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুল মতিন খসরু, জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

ফেসবুকে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের করা মন্তব্য ‘গুরুতর আদালত অবমাননাকর’ উল্লেখ করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বিষয়টি প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বে চার বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের নজরে আনেন। পরে আদালত এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল, মনসুরুল হক চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী সমিতির সভাপতি (বর্তমানে এটর্নি জেনারেল) এ এম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মনজিল মোরসেদের মত নেন। আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদালত আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের উচ্চ আদালতে আইনপেশা পরিচালনায় দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন।

সেই সাথে ১১ অক্টোবর আপিল বিভাগে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এছাড়াও ইউনুছ আলী আকন্দের ফেসবুক থেকে তার দেয়া স্ট্যাটাস অপসারণ (ডিলিট) করে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়।