অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভুমিকা রাখবে ভৈরব ও তিতাস রেলসেতু

ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগের জন্য নির্মাণ করা দ্বিতীয় ভৈরব, দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় একটি ডেমু ট্রেন অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে ২য় ভৈরব রেলসেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষে সেতুটি গত ৩ নভেম্বর ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের (এলওসি) অর্থায়নে ব্যয়ে এই সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়।

এসময় ভৈরবে রেল সেতুর নিচে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ঢাকা, কলকাতা ও দিল্লীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে উদ্বোধন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় রেলওয়ে বিভাগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে রেলমন্ত্রী মো. মজিবুল হক এমপি, সেতু ২টির প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই ও ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া বক্তৃতা করেন। ভিডিও কনফারেন্সের সময় সুধী সমাবেশে উপস্থিত ভৈরববাসী সেতুর নামকরণ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের নামে করার দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার এবং ভৈরবে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার আশ্বাস দেন।

সুধী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী মো. মজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিটিশ আমলের পর আর কোন সরকারই এই দুটি সেতু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকার উদ্যোগ নিয়ে এই দুটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো। এই সেতু ২টি উদ্বোধনের ফলে রেলভ্রমণে যাত্রীদের সেবার মান বাড়বে ও সময় কম লাগবে ট্রেন চলাচলে। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে সুবিধা বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে এই সেতু।

এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডিপুটি হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়ায়িকা বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

তবে দাওয়াতকার্ডে আশুগঞ্জ-সরাইল আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. জিয়াউল হক মৃধাকে বিশেষ অতিথি না করায় তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি। এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাকে সাধারণ দর্শকের মত একটি আমন্ত্রণ পত্র দেয়া হয়েছে। অথচ দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর অধিকাংশ অবস্থান আশুগঞ্জ সীমানায় অবস্থিত। অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় শুধু আমাকে অবমাননা নয়, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলার আপামর জনগনকে অবমাননা করা হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৯ নভেম্বর ২০১৭