প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তোপের মুখে থাকা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, সম্মানিত মানুষকে সম্মান দিতে হয়। অর্থমন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আছে। তিনি আরও বাজেট দেবেন।
জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ বুধবার তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
এর আগে গত দুইদিনে সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ তোফায়েল বলেন, বাবলু যে ভাষায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন, তার কাছ থেকে এটা আশা করেননি তিনি।
তিনি বলেন, বয়স নিয়ে কথা বলেন, আপনার নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বয়সের কথা বিবেচনা করেন না। যিনি আপনাকে মহাসচিব বানান তারপর আবার রুহুল আমিন হাওলাদারকে বানান। যার বয়স অর্থমন্ত্রীর চেয়ে ৫ বছর বেশি। বাবলু আমার খুব প্রিয় লোক। তার মামা শ্বশুর হলেন এরশাদ। তিনি কী করে ভুলে গেল তার বয়স ৮৬ বছরের বেশি।
“তিনি যদি তার নেতাকে বলতেন আপনার বয়স হয়েছে, আপনি পদত্যাগ করুন। একজন সম্মানিত মানুষকে সম্মান দিতে হয়। বাবলু বলেছেন, এখন বিদায় হন। আপনাদের অর্থমন্ত্রীও ছিলেন উনি (অর্থমন্ত্রী)। এ পর্যন্ত ১২টা বাজেট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আরও দেবেন। উনার ওপর প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আছে।”
মন্ত্রীদের বাজেট নিয়ে সমালোচনার প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন। এই বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত। কথা থাকলে মন্ত্রিসভাই সঠিক জায়গা (প্রপার প্লেস)।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী জানেন মানুষ কী চায়? ২৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। সেই দিনই তিনি অর্থমন্ত্রীকে বলবেন এটা করেন ওটা করেন। এমনভাবে অনুমোদিত হবে, বাংলাদেশের মানুষ শুধু প্রশংসা করবে না, বলবে এটা শ্রেষ্ট বাজেট। অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন কেন? আমারও পদত্যাগ দাবি করতে পারেন। আমিও এর অংশ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি কোনও সমস্যা থাকে তবে তিনি সেগুলো দেখবেন। আলোচনা অবশ্যই করবেন। বাজেট কি সব শুধু নেগেটিভ, এর পজেটিভ নেই?’
ভ্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাজেট সবার, অর্থমন্ত্রী মুখপাত্র। আপনারা আলোচনা করবেন প্রস্তাব নিয়ে। ভ্যাট নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, আশা করছি এমনভাবে করা হবে সব নিরসন হবে। এই সরকার ব্যবসাবান্ধব।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকে ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলছেন আপনারা। আমি অন্যায়কে সমর্থন করি না। ব্যাংকে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর প্রত্যাশা মানুষ করে না। জিয়াউদ্দিন বাবলুও ব্যাংকের মালিক। ফিরোজ শেয়ার বাজারে দুইটা ব্রোকারেজ হাউজ আছে।
আজকের বাজার:এএন/এলকে/ ২১ জুন ২০১৭