পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগে বিএসইসিতে ২৬টি কোম্পানির আবেদন জমা রয়েছে। এর মধ্যে ৯ কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং বাকি ১৭টি কোম্পানি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আসতে আগ্রহী। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩০ এপ্রিল বিএসইসি সিদ্ধান্ত নেয় যে, এখন থেকে আর কোনো নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ করা হবে না। কারণ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এই সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখ থেকে আইপিও সংক্রান্ত নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তবে ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা পড়ে আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ আইপিওর জন্য আবেদন দাখিল করা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে আগের নিয়মেই অনুমোদন দেওয়া হবে।
সেই হিসাবে ২৬টি কোম্পানি রয়েছে; যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করা হবে পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ (অসংশোধিত) অনুসারে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো–
১। ডেল্টা হসপিটাল ৫০ কোটি টাকা,
২। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ১৪৯ কোটি ৮৬ টাকা,
৩। স্টার সিরামিকস ৬০ কোটি টাকা,
৪। বারাকা পতেঙ্গা ২২৫ কোটি টাকা,
৫। লুব-রেফ বাংলাদেশ ১৫০ কোটি টাকা,
৬। আমান টেক্স ২০০ কোটি টাকা,
৭। মীর আখতার হোসেন লিমিটেড ১২৫ কোটি টাকা,
৮। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ১০০ কোটি টাকা তুলবে।
৯। ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ৫০ কোটি টাকা।
আর বুক বিল্ডিংয়ে বিডিং প্রকিয়ায় রয়েছে ২ কোম্পানি।
১। এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা এবং
২। পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৭০ কোটি টাকা।
অভিহিত বা স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো–
১। এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা,
২। ইলেক্ট্রো ব্যাটারি কোম্পানি সাড়ে ২২ কোটি টাকা,
৩। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা,
৪। ক্রিস্টল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৬ কোটি টাকা,
৫। আল- ফারুক ব্যাগস ৩০ কোটি টাকা,
৬। বিডি পেইন্টস ২০ কোটি টাকা,
৭। ই জেনারেশন ১৫ কোটি টাকা,
৮। এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৮ কোটি টাকা,
৯। বনিতো অ্যাক্সেসরিজ ইন্ড্রাস্ট্রিজ ৩০ কোটি টাকা।
১০। পিইবি স্টিল অ্যালায়েন্স ১৫ কোটি টাকা,
১১। আসিয়া সি ফুড ২০ কোটি টাকা,
১২। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৯ কোটি টাকা,
১৩। বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বিভারেজ ১৫ কোটি টাকা।
১৪। এএফসি হেল্থ ১৭ কোটি টাকা।
১৫। ওরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ২৫ কোটি টাকা।
১৬। অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন ১৫ কোটি টাকা এবং
১৭। গার্ডেনিয়া ওয়ার্স লিমিটেড ২০ কোটি টাকা তুলবে।