অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় উৎসব। তিনি বলেন, এ উৎসব এখন বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালি দিনটিকে উদযাপন করে উৎসবের আমেজে এবং সকলে নতুন পোশাক পরে খুশিতে মেতে উঠে। এ জন্যই পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব।

প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে শিশু একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী এক সময় রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। যা ছিল বাঙ্গালির সংস্কৃতির উপর বড় আঘাত। তখন পাকিস্তানি শাসকদের এ অপশাসনকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানায় বাঙ্গালি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

ইন্দিরা বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারও বাংলা ১৪০০ সালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করতে দেয়নি। এই মৌলবাদি চক্ররা আজও বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি মেনে নিতে পারেনি। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সালের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বর্ষবরণ উৎসব পালনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নববর্ষ ভাতা চালু করেছেন। যা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী শিশুদের উদ্দেশে বলেন, বাঙালির আদর্শ ও চেতনা বুকে ধারণ করে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মূহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও অভিবাবকবৃন্দ।

আলোচনা পর্ব শেষে ছিল শিশুদের পরিবেশনায় পহেলা বৈশাখের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশুদের পরিবেশনায় ছড়া, কবিতা, আবৃত্তি, গান ও নৃত্য নাঠ্যে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শিশু একাডেমি মিলনায়তন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান