অসুস্থরা রোজা রাখুন চিকিৎসকের পরামর্শে

পবিত্র রমজান মাস এ মাসে ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় সকল রোজাদার ব্যাক্তিদের। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখুন

চিকিৎসকরা বলছেন, রোজার নিয়মগুলো যদি একজন রোজাদার ঠিক মতো মেনে চলেন তাহলে তারপক্ষে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ থাকার এটি উপযুক্ত সময়।

যে রোগীরা খুব অসুস্থ থাকেন, দিনে যাদের তিন থেকে চারবার ইনজেকশন নিতে হয়, কিংবা দিনে যাদের প্রায় দুই ঘণ্টা পর পর অল্প করে খাবার খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব না। এছাড়া যে কোনও ধরনের অসুস্থ রোগী রোজা রাখতে পারেন। কিডনি রোগীদের মধ্যে যারা দিনে তিনবেলা ওষুধ খান তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বদলে নিতে পারেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা প্রথম দুদিন রোজা রাখার পর যদি মনে হয় শরীর বেশি খারাপহচ্ছে তাহলে রোজা রাখা বাদ দিতে হবে।

পুরোপুরি শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সংজ্ঞা দিয়েছে অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য এর সবগুলোর সঙ্গে রোজার সম্পর্ক রয়েছে। রোজা শৃঙ্খলার মধ্যে জীবনকে নিয়ে আসে। রোজারমাসে মানুষ নিয়মের মধ্যে আসে। শরীরে বাড়তি যে মেদ তৈরি হয় সেগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা থাকে। এগুলো কারণে রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যায়। নিয়ম মেনে রোজা রাখলে তা দূর হতে পারে। রোজার সময় প্রথম ৬-৮ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার কারণে শরীর ভোররাতে খাওয়া খাবারগুলো ক্ষয় করে। বাড়তি যে অলস ফ্যাট শরীরে জমে থাকে সেগুলো বাকি সময়ের চাহিদা পূরণ করে। এতে কোলেস্টেরল বেশি থাকার ঝুঁকি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

কোলন, স্তন ক্যান্সার স্থূলকায় মেয়েদের বেশি হয়। তারাবিহর নামাজ কেউ পড়লে তা মধ্যম মানের ব্যায়ামের কাজ করে। এই এক মাসে এটাও একটা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি হয়ে যায়।

সারাবছর যে ব্যক্তি খুব রাগারাগি করেন তিনিও চান ভালো থাকতে। তিনিও রোজা রাখতে পারেন। সংযম প্রদর্শন করতে পারলে রোজা তারও সুস্থতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রোজার মাসে সবাই যদি আমরা ভালো থাকি তাহলেসামাজিকভাবেও মানুষ ভালো থাকবে। সবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

আজকের বাজার/আরআইএস