অস্ট্রেলিয়া অভ্যন্তরীণভাবে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে

অস্ট্রেলিয়া বৃহস্পতিবার অভ্যন্তরীণভাবে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য ৫শ’ ৭০ মিলিয়নের মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি উন্মোচন করেছে। একটি আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার মধ্যে
সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে।
প্রতিরক্ষা শিল্প মন্ত্রী প্যাট কনরয় সিডনির উত্তরে একটি প্ল্যান্টে নৌ ও বিমান চালিত যৌথ অভিযান (জেএসএম) ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত করার একটি চুক্তি ঘোষণা করেছেন।
কারখানাটি এই বছরের শেষের দিকে জাহাজ-বিরোধী ক্রুজ মিসাইল এবং জেএসএম তৈরি করবে যা অত্যাধুনিক এফ-৩৫ এ বিমানে লাগানো যেতে পারে।
কনরয় বলেছেন, ‘এটি আমাদের উন্নত, উচ্চ-প্রযুক্তি উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ এবং আমাদের সার্বভৌম প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশের ঘাটি তৈরি করবে।
একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপি’কে জানিয়েছেন, কারখানাটি ২০২৭ সালে উৎপাদন শুরু করবে এবং
বছরে ১শ’টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে।
দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই তৈরি করেছে নরওয়ের কংসবার্গ।
চীনের ব্যাপক প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ সম্পর্কে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্রকে অস্ত্র তৈরির ক্ষমতার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কয়েকটি দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া নাটকীয়ভাবে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করছে।
লন্ডন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অনুসারে, এশিয়ান প্রতিরক্ষা ব্যয় ২০২৩ সালে রেকর্ড ৫শ’ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অস্ট্রেলিয়া পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিনের একটি বহরের উন্নয়নসহ উচ্চাভিলাষী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের একটি সিরিজ চালু করেছে। (বাসস ডেস্ক)