অস্ত্র মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন পুলিশ পরিদর্শক শাইরুল ইসলাম, উপ পরিদর্শক সুধাশন সরকার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী ৮ সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলার ১২ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১২ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।