‘অ্যাটর্নি জেনারেল অযথা সময়ক্ষেপণ করছেন’

খালেদা জিয়ার কারাবরণকে দীর্ঘায়িত করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অযথা সময়ক্ষেপণ করছেন বলে মনে করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) তৃতীয় দিনের মতো দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকালে তিনি এ কথা বলেন।

কুমিল্লা নাশকতা মামলা ও নড়াইলের মানহানি মামলায় আজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানিটি কার্যতালিকার ৫ ও ৬ নম্বরে ছিল। সেই অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলাটি শুনানির জন্য সিরিয়ালে এলেও শুনানি শুরু করতে পারেননি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কারণ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলা দুটি শুনানির জন্য এলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় চান। সে অনুযায়ী আদালত শুনানির জন্য দুপুর ২টার পর সময় নির্ধারণ করেন।

এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের দুর্ভাগ্য খালেদা জিয়ার কারাবরণকে দীর্ঘায়িত করার জন্য অযথা সময়ক্ষেপণ করছেন।’

মামলার বিষয়ে খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, ‘অভিযোগে বলা হয়েছে খালেদা জিয়া অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছিলেন সেই কারণেই বাসে কর্মীরা হাঙ্গামা করেছে এবং সেখানে পেট্রোল বোমা মারা হয়েছে। সেই কারণে লোক মারা হয়েছে। কিন্তু এজাহারে বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে এটুকুই বলা হয়েছে।’

খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘যেহেতু খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে ছিল না, পরবর্তীতে তার নাম ৭৭ জন আসামির মধ্যে ৫১ নম্বরে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পরোয়ানা নেই। তারপরও ফৌজদারি কার্যবিধিতে ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে, যেক্ষেত্রে আসামির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে সেক্ষেত্রেও যদি মহিলা হয়, অসুস্থ হয় বা অল্প বয়স্ক হয় তাকে জামিন দেওয়া যায়। এইক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে জামিন না দেওয়ার আইনগত বিধান নাই। এইক্ষেত্রে আশা করছি, জামিন আদেশ আমরা পাব। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল এ ছোট দুটি মামলায় সময়ক্ষেপন করে তিনদিন যাবত ঠিকমতো শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন না। একটি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার কাছ থেকে জাতি এটা প্রত্যাশা করে না।’

গত মঙ্গলবার এ দুই মামলায় শুনানি শুরু হয়। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে আজ তৃতীয় দিন শুনানির দিন ধার্য হয়।

আরজেড/