রাজধানী বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে সামরিক প্যারেডের মধ্যদিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অর্জিত বিজয় উদযাপন করেছে ইরাক। রোববার আয়োজিত ওই প্যারেড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হায়দার আল আবাদি।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্যারেড ময়দানে আরবি বানানে ‘বিজয় দিবস’ লেখা ফুটিয়ে তোলেন সেনা সদস্যরা। এ সময় যুদ্ধবিমানগুলো বাগদাদের আকাশ দিয়ে উড়ে যায়।
অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে বার্ষিক সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন আবাদি। ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্যারেড অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হয়। এতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী আবাদি সিংহাসনের মতো দেখতে একটি চেয়ারে বসে আছেন, তার দুইপাশে ইরাকের দুটি পতাকা এবং পেছনে দেশটির সরকারি সিলমোহর শোভা পাচ্ছে; আর দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তারা তার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখে বসে আছেন।
আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকের যেসব বাহিনী যুদ্ধ করেছে, ঘোষক তাদের নাম ঘোষণার পর বাহিনীগুলো আবাদির সামনে দিয়ে মার্চ করে এগিয়ে যায়। এসব বাহিনীর মধ্যে ট্যাঙ্ক রেজিমেন্টও ছিল।
আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকের সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পুলিশ, অভিজাত সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীগুলোর পাশাপাশি শিয়া ও সুন্নি বেসামরিক বাহিনী এবং কুর্দিদের পেশমেরগা বাহিনীও লড়াই করেছে। এই বাহিনীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীরও সমর্থন পেয়েছে।
কিন্তু আগেরদিন শনিবার দেওয়া বিজয় ভাষণে আবাদি কুর্দি পেশমেরগা বাহিনীর নাম উল্লেখ করেননি, যদিও আইএস বিরোধী লড়াইয়ে এই বাহিনীটির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
তিনি ইরানের প্রশিক্ষণে ও সমর্থনে গঠিত শিয়া বেসামরিক বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) এর প্রশংসা করেছেন।
তিন বছর আগে ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে নিয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। শনিবার সিরীয় সীমান্তের আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় মরুভূমি সুরক্ষিত করে ইরাকি বাহিনী। এর মাধ্যমে ইরাকি ভূখণ্ডে আইএস বিরোধী যুদ্ধ শেষ হয়।
সূত্র: রয়টার্স।
আজকের বাজার: এসএস /এলকে ১১ ডিসেম্বর ২০১৭