আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচারকদের ভূমিকা অপরিহার্য : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকগনের ভূমিকা অপরিহার্য।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ৭ম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের অনলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে এ অনলাইন ওরিয়েন্টেশন কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মহামারি জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ভার্চুয়াল বিচার কার্যক্রম চালু হয়। এতে জনগণ সুফল পাচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে ৩৭ লাখ মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলা জট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিচারকদের দক্ষতা ও মেধা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া এ অবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার তারিখ ও বৃত্তান্ত জানাতে এসএমএস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এডিআর পদ্ধতিকে তরান্বিত করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ৮’শ কোটি টাকার ই- জুডিশিয়ারী প্রকল্প পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। বিচারকদের বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় বিচারকদের আবাসন নিশ্চিতে কাজ চলছে।
আনিসুল হক বলেন, একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এসডিজি ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভারত, অষ্ট্রেলিয়া, চীনে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণের সূযোগ পেয়েছেন। আরো দেশেও বিচারকদের প্রশিক্ষণের সূযোগে কাজ চলছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের মর্যাদা আরো বৃদ্ধিতে বিচারকদের ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির মাঝে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানান।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার।
৪৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এ অনলাইন ওরিয়েন্টেশন কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন।
আইন সচিব মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিচারকগণের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দেশে বিদেশে বিচারকগনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে বিশ্বমানের জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠায় কাজ চলছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান মামলা জট কমিয়ে আনা একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিচারকগণকে সফল হতে হবে। ভোগান্তিহীন বিচার বিচারকগনকে নিশ্চিত করতে হবে।
করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অনলাইনে প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইতোমধ্যে এ ধরনের বেশকটি কোর্স আয়োজন করেছে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া।