আইপিএলে চিনা স্পনসর নিষিদ্ধের দাবি

গোটা ভারতে চিন বিরোধী হওয়া প্রবল। সীমান্তে ২০জন ভারতীয় সেনা মারা যাওয়ার পর আওয়াজ উঠেছে, চিনা দ্রব্য বয়কটের। এর মধ্যেই বড়সড় ঘোষণা আইপিএল ও ইন্ডিয়ান অলিম্পিক এসোসিয়েশনের তরফ থেকে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, প্রয়োজন হলে স্পন্সরশিপ ছাঁটতে দুবার ভাববে না তারা।

বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হল, ভবিষ্যতে খেলার কোনো পরিকাঠামো, স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে চিনা কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হবে না।

বর্তমানে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো আইপিএলের প্রধান স্পনসর। আইওএ (জাতীয় অলিম্পিক সংস্থা)-তে স্পনসরশিপ রয়েছে চিনের লি-নিং কোম্পানির। বিসিসিআইয়ের সচিব অরুণ ধুমল জানান, বর্তমানে চুক্তি অক্ষত থাকছে, তবে সেই চুক্তি ছিন্ন করতে দু-বার ভাববে না বোর্ড। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অরুণ ধুমল জানালেন, “ভবিষ্যতে ক্রিকেট পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্ব কোনো চীনের কোম্পানিকে দেওয়া হবে না।”

পাশাপাশি তিনি অবশ্য জানিয়ে রাখছেন, “আমাদের প্ৰথমে দুটো জিনিসের তফাৎ বুঝতে হবে- চিনা কোম্পানিগুলোকে সমর্থন করা এবং চিনকে সমর্থন করা। স্পনসরের ক্ষেত্রে আমরা একটা চিনা কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি, টাকা দিচ্ছি না।” ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ২১৯৯ কোটি টাকার বিনিময়ে আইপিএলের সঙ্গে চুক্তি করে ভিভো। ধুমল বলছিলেন, “এই টাকার ৪২ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে কর বাবদ দেওয়া হয়। এভাবে কিন্তু দেশকেই সমর্থন জানানো হচ্ছে। এদেশের টাকা এখানেই থাকছে। ক্রিকেটের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকেও সাহায্য করা হচ্ছে। চিনের কোম্পানীগুলো এখানে ফোন বিক্রি করে সেই অর্থ চিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে। যদি সেই টাকা আমরা স্পনসর বাবদ না নিই, তাহলে সব টাকাই দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে।”

স্পনসরশিপ নিয়ে নিজস্ব যুক্তি থাকলেও এই চুক্তি যে ছিন্ন করতে দু-বার ভাববে না বোর্ড তা-ও জানিয়েছেন তিনি। অরুণ ধুমল বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যদি এদেশে চিনা দ্রব্য এবং কোম্পানি নিষিদ্ধ করে, তাহলে আমরা সেই নির্দেশ হাসি মুখেই মেনে নেব। কারণ, জনগণের সেন্টিমেন্ট নিয়ে বোর্ড ওয়াকিবহাল। ভারতীয় হিসাবে আমরাও চাই ওদের শিক্ষা দেওয়া হোক। ওদের অর্থনীতিতে আঘাত হানা বা চিনা দ্রব্য বর্জন করা- যাই হোক না কেন!”

এদিকে জাতীয় অলিম্পিক সংস্থাতেও বিসিসিআইয়ের সুর। অন্যতম প্রধান স্পনসর লি-নিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করতে কোনো দ্বিধা করবে না আইওএ। সচিব রাজীব মেহতা জানান, তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পরেই।

“পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। তবে সংঘাত যদি চরম মাত্রায় পৌঁছায় তাহলে কার্যকরী কমিটি স্পন্সরের আগে দেশকেই রাখবে বলে আমরা আশাবাদী। চিনা সংস্থার সঙ্গে টোকিও অলিম্পিক পর্যন্ত আমাদের চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি পরিস্থিতি অনুযায়ী খতিয়ে দেখা হবে।” বলছেন তিনি।