আইপিএল আমাকে পরিণত করেছে : কামিন্স

জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেট লিগ, ভারতের আইপিএলের মাধ্যমে অনেক বেশি অভিজ্ঞ ও পরিণত হয়েছেন বলে জানালেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। তিনি বলেন, ‘আইপিএল থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। যা আমাকে ভালো করতে সহায়তা করেছে। আইপিএল দিয়েই অনেক অভিজ্ঞ ও পরিণত হয়েছি আমি।’

আইপিএলের ১৩তম আসরের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থে কামিন্সকে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কামিন্সকে কিনতে ১৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা খরচ হয় কেকেআরের। অবশ্য এর আগেও কেকেআর-এর হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই পেসারের। এছাড়া আইপিএলের অন্যান্য দলের হয়েও খেলেছেন কামিন্স। তাই আইপিএল খেলতে-খেলতে নিজের ক্যারিয়ারের অনেক উন্নতি হয়েছে বলে অকপটে স্বীকার করলেন কামিন্স।

তিনি বলেন, ‘আইপিএল-এ বেশিরভাগ ম্যাচেই শেষের দিকে বল করেছি। ডেথ ওভারে আমার উপর ভরসা করা হতো। ডেথ ওভারে ভালো করলে জিতবো, খারাপ করলে হারবো, এরকম পরিস্থিতিতে আমি বল করেছি। অনেকবারই ওমন পরিস্থিতিতে বল করেছি আমি। ওরকম চাপের মুখে বল করে অনেক কিছু শিখেছি। শিখতে-শিখতে আমি অভিজ্ঞ হয়েছি, অনেক বেশি পরিণতও হয়েছি। আইপিএল আমাকে দ্রুত উন্নতি করেছে।’

আইপিএলে বড়-বড় তারকাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন বলে জানান কামিন্স। তাতে অভিজ্ঞতা বেড়েছে তার। কামিন্স বলেন, ‘রাহুল দ্রাবিড় আমার কোচ ছিলেন। জক ক্যালিস এর অধীনে খেলেছি। এর আগে কেকেআর-এ খেলার সময়ে ওয়াসিম আকরাম আমার বোলিং কোচ ছিলেন। এঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি। প্রতিবারই আমার মনে হয়েছে, ছয়-সাত সপ্তাহ আইপিএল থেকে আমি শতভাগ অর্জন করতে পেরেছি।’
আইপিএলের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজে লেগেছে বলে জানান কামিন্স। আইপিএল টি-২০ ফরম্যাট, কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিন ফরম্যাটেই সেই অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে কামিন্সের। বর্তমানে আইসিসি টেস্ট র‌্যাংকিংএর শীর্ষে রয়েছেন তিনি। ওয়ানডে র‌্যাংকিংএ চতুর্থস্থানে রয়েছেন কামিন্স। টি-২০তে আছেন ১৮তম স্থানে।

কামিন্স বলেন, ‘আইপিএলের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। তাতে সফলও হয়েছি আমি।’
করোনাভাইরাসের জন্য আইপিএলের ১৩তম আসর শুরু হতে পারেনি। তবে দেশের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য আইপিএল হওয়াটা হওয়াটা উচিত বলে মনে করেন কামিন্স, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য এবারের আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আমার জন্যই নয়, সকলের জন্যই।’