আইপিও লটারির শেয়ার বিওতে জমা দিয়েছে এসকে ট্রিমস

সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে আজ বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে। এখন কোম্পানিটির আবেদনের ভিত্তেতে যেকোন দিন লেনদেনের তারিখ চূড়ান্ত করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

এর আগে গত ১২ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০ টায় কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানির শেয়ার কিনতে ৪৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার বা ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ আবেদন করেছে বিনিয়োগকারীরা।

এর আগে গত ১৪ থেকে ২২ মে আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়।

ত ১০ এপ্রিল কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে আবেদন গ্রহণের সম্মতিপত্র পায়। আর ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়।

এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ৭৯ পয়সা। এ সময়ের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা।

আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ভবন নির্মাণ এবং আইপিওর কাজে ব্যয় করবে। এর মধ্যে মেশিনারিজ কিনতে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ভবন নির্মাণে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং আইপিও খরচে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

কোম্পানিটি মূলত সুইং থ্রেড, ইলাস্টিক, পলি, কর্টন, ফটো কার্ড, ব্যাক বোর্ড, বার কোড, হ্যাংট্যাগ, টিস্যু পেপার, গাম টেপ ইত্যাদি তৈরি করে থাকে।

উল্লেখ, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

আরএম/