আইসক্রিমের ১৫ অজানা তথ্য

চরম গরেম একটু স্বস্তির জন্য মানুষ আইসক্রিমসহ বিভিন্ন ঠাণ্ডা খাবারের খোঁজ করে। তবে গরমের আরাম দিতে আইসক্রিমের জুড়ি নেই। তাই হরহামেশাই মানুষ আইসক্রিমের দারস্থ হয়। আর এই আইসক্রিম নিয়ে রয়েছে কিছু অজানা তথ্য। যা একই সঙ্গে ইন্টারেস্টিং এবং বিস্ময়ের।
১) আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-এর সময় আইসক্রিম আবিষ্কার হয়নি! শোনা যায়, তিনি নাকি বরফে মধু মিশিয়ে খেতেন।
২) ১৯০৪ সালে সেন্ট লুইস-এ ‘ওয়র্ল্ডস ফেয়ার’ চলাকালে আইসক্রিমের চাহিদা এতটাই বেড়ে যায় যে, শামাল দিতে আইসক্রিম বিক্রেতারা ওয়াফেল-এর মাথায় আইসক্রিম বসিয়ে বিক্রি করেন। দেখতে লাগে বড়, অথচ আইসক্রিম লাগে কম পরিমাণে! সেখান থেকেই কোন আইসক্রিমের জন্ম হয়।
৩) রুপার্ট গ্রিন্ট-এর জীবনের প্রথম ইচ্ছে ছিল, আইসক্রিম বিক্রি করবেন। তাই, ‘হ্যারি পটার’-এর সিনেমা থেকে তিনি যে টাকা রোজগার করেছিলেন, তাই দিয়ে প্রথমেই কেনেন একটা আইসক্রিম ট্রাক।
৪) আইসক্রিম টেস্টার-রা সোনার চামচ দিয়ে আইসক্রিম চাখেন।
৫) আইসক্রিমের আসল নাম ছিল ক্রিম আইস।
৬) আইসক্রিমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কি জানেন? হাওয়া
৭) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উদযাপন করা হয়েছিল আইসক্রিম খেয়ে।
৮) আইসক্রিমে থাকা চিনি আইসক্রিমের মেল্টিং পয়েন্ট কমায়।
৯) জুন মাসে সবথেকে বেশি আইসক্রিম তৈরি হয়।
১০) হাওয়াই-এ এক ধরনের ফল পাওয়া যায়, নাম ‘ আইসক্রিম বিন’, খেতে হুবহু ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো।
১১) সারা পৃথিবী জুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় আইসক্রিমের ফ্লেভার হল ভ্যানিলা।
১২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় পাওয়া যায় সবচেয়ে বিরল ফ্লেভারের আইসক্রিম– হট ডগ ফ্লেভার
১৩) বিশ্বের সর্ববৃহৎ আইসক্রিম সান্ডি বানানো হয় ১৯৮৫ সালে, ক্যালিফোর্ণিয়ায়। উচ্চতা  ১২ ফিট। ছিল ৪৬৬৭ গ্যালন আইসক্রিম।
১৪) ১ গ্যালন আইসক্রিম বানাতে ১২ গ্যালন গরুর দুধ লাগে।
১৫) গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আইসক্রিম টপিং হল চকোলেট সিরাপ।
আরএম/