রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র পদের প্রার্থী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ফলাফল নিয়ে শঙ্কার কথা বলেছেন বিএনপির প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় এ সিটির ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন এবং কাউন্সিলর পদে ৩০৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে থেকে নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন ভোটার।
রংপুরের গত মেয়াদের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। সকাল ১০টায় নগরীর ২৪ ওয়োর্ডের সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
পরে কেন্দ্রের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। ভোট এভাবে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু হলে আমি জিতব। জনগণ যে রায় দেবে তা আমি মেনে নেব।
ঝন্টুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সকাল সাড়ে ৯টায় ২২ ওয়ার্ডের আলমনগর কলেজ রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ভোটে জনগণ যে রায় দেবে আমি মেনে নিব। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ভভাবে ভোট হচ্ছে। মানুষ নিঃসংকোচে ভোট দিচ্ছে, কারও মধ্যে কোনো শঙ্কা নেই। আমি এখন পর্যন্ত ৩৩ ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজ নিয়েছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।
বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা ভোট দেন সকাল পৌনে ৯টায় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, আমরা শুরু থেকেই ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছি। এখনও আমাদের মধ্যে শঙ্কা আছে। যদি ফলাফলে কোনো ধরনের জালিয়াতি না হয় এবং সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে জনরায় মেনে নেব।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বাবলা অভিযোগ করেন, কিছু কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচন শুরুর পর চার ঘণ্টায় কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি।
আজকের বাজার: আরআর/ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭