ইঞ্জিনে মারাত্মক ত্রুটির কারণে ১ অক্টোবর এয়ার ফ্রান্সের এ-৩৮০ বিমান কানাডায় জরুরি অবতরণ করে। বিমানটিতে ক্রুসহ পাঁচশোর বেশি আরোহী ছিল। গ্রিনল্যান্ড পার হয়ে উড়ে যাবার সময় এয়ারবাস এ-৩৮০ বিমানের চারটি ইঞ্জিনের একটি অচল হয়ে পড়ে।
বিশালায়তনের বিমানটি প্যারিস থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস যাচ্ছিল। কয়েক ঘণ্টা উড়ার পর বিমানের একটি ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে এটি দিক পরিবর্তন করে কানাডার পূর্বাঞ্চলের সামরিক বিমান বন্দর গুজ বে’তে জরুরি অবতরণ করে। এয়ার ফ্রান্সের একজন মুখপাত্র এ কথা জানান। তবে বিমানে ত্রুটির কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এয়ার ফ্রান্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমানটিতে ৪৯৬ যাত্রী ও ২৪ ক্রু ছিল। তাদের সকলকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
উল্লেখ্য, এয়ার ফ্রান্স ১০টি এ-৩৮০ বিমান পরিচালনা করে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী এয়ারবাস।
সাবেক বিমান মেকানিক ডেভিড রেহমার ওই বিমানটিতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন। তিনি বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে ইঞ্জিনের ফ্যান বিকল হয়ে পড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। হঠাৎ করেই বিমানটি নড়ে ওঠে এবং এরপর বিকট এক শব্দ শোনা যায়। যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। কয়েক মুহূর্তের জন্য তার কাছে মনে হচ্ছিল বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়বে। তবে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি স্থিতিশীল হবার পর বুঝতে পারি বিমানের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পাইলটরা খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন।
তিনটি ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা উড্ডয়নের পর কানাডার পূর্বাঞ্চলে ল্যাব্রেডর বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। যাত্রীদের তোলা ছবিতে দেখা যায় ইঞ্জিনের সামনের অংশটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং ডানার ওপরের অংশও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কানাডার ছোট বিমানবন্দরটি এয়ারবাস এ৩৮০-র মত বড় বিমান দেখভাল করার মত উপযুক্ত না হওয়ায় যাত্রীরা বিমানের ভেতরেই আটকে রয়েছেন।
যাত্রীদের স্থানান্তরের জন্য মন্ট্রিয়াল থেকে দুটি এয়ার ফ্রান্স ৭৭৭ বিমান আসছে বলে জানানো হয়েছে। এয়ার ফ্রান্স বিবৃতিতে বলেছে, বিমানটির একটি ইঞ্জিন ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে এবং তাদের কর্মীরা “ঘটনাটি সুচারুভাবে সামাল দিয়েছে”।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১ অক্টোবর ২০১৭
