আগামী বছর ৩৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে : পলক

আগামী বছর ৩৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে বলেও মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী আজ মেহেরপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। যেখানে দেশের তরুণ বেকার যুৃবক যুবতীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এটি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সেন্টারের মাধ্যমে হাজারো তরুণ প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। ২০৪১ সাল নাগাদ মেহেরপুর থেকেই প্রায় ১০ লাখ প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশে ৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আগামি বছর ৩৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে বলেও মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন- শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার।
জেলা শহরের উপকণ্ঠে বসন্তপুর মাঠে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন- ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ ট্রেনিং নিয়ে তরুণ-তরুণীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। এখানে অনেক মনুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এখন থেকে আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না। নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকরি দেবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী অনিরুদ্ধ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের এসজিপি, পিএসসি, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
অনুষ্ঠানে শারিরীক প্রতিবন্দ্বী ৫ জন এবং আউটসোর্সিংয়ে অবদান রাখায় আরও ৫ জনকে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের আগে মন্ত্রীদ্বয় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।