আট বছরে লক্ষাধিক ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এনআইএলজি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দুই মেয়াদে এ পর্যন্ত (২০০৯-২০১৭) স্থানীয় সরকার কার্যক্রম বিষয়ে মোট ১ লাখ সাত হাজার ৩৪৪ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের গতিধারায় বাংলাদেশ : প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
এনআইএলজি আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
এনআইএলজি-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনআইএলজি-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ) অতিরিক্ত সচিব মোঃ গোলাম ইয়াহিয়া ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- এনআইএলজি’র পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ ইয়াহ-ইয়া ভুইয়া। আরও বক্তব্য রাখেন এনআইএলজি’র পরিচালক (প্রশাসন ও সমন্বয়) শেখ মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার, বার্ড-এর মহাপরিচালক ড. মিজানুর রহমান।
সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে। বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের সমন্বয় করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তার সুফল পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আলোকিত সমাজ ও দেশ গড়ার মূল ভিত্তি হলো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বাংলাদেশে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জনের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে’।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের সফলতার ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপরও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

এমআর/