বরিশালে কর্মসংস্থান সৃজন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির এক গৌরবময় উদাহরণের নাম সালমা আক্তার। বরিশাল বিভাগে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন বিউটিশিয়ান সালমা।
বরিশাল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মুলত সালমা আক্তারের নিজ বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়। তিনি বর্তমানে থাকেন বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকায়। পিতা মো. রুস্তুম আলী ও মাতা মোসা. সাহিদা বেগম। সৎ, নির্ভীক, উদ্যমী ও আত্মপ্রত্যয়ী এক নারী এই সালমা। তিনি প্রথম বরিশাল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ২০১৮ সালে বিউটিফিকেশন কোর্সের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বৈবাহিক সূত্রে তিনি বরিশালে থাকেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্র আরো জানায়, মোসা. সালমা আক্তার কর্মসংস্থান সৃজন ও আত্মকর্মসংস্থানে গৌরবোজ্জল অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একজন ‘সফল আত্মকর্মী’ ক্যাটাগরিতে বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় যুব পুরস্কার-২০২২ সালে এই ভূষিত হন। বর্তমানে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী নারী বিউটিশিয়ান সালমা। তিনি বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার ও রূপাতলী সড়কে পৃথকভাবে ভেনাস বিউটি পার্লার নামে দু’টি পার্লার পরিচালনা করেন। একই সাথে একটি বিউটিফিকেশন ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন।
এই বিষয়ে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী বিউটিশিয়ান মোসা. সালমা আক্তার বাসস’কে বলেন, ‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রথমে আমি বিউটিফিকেশন ও বুটিক্স-এর ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি।’ এরপর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে স্বল্প মেয়াদী একটি ঋণ নিয়ে ভেনাস বিউটি পার্লার নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। তখন বহুবিধ বাধা অতিক্রম করে আজ আমি অনেকটা সফল। বর্তমানে ভেনাস বিউটি পার্লার নামে দু’টি পার্লার রয়েছে। পাশাপাশি একইসাথে একটি বুটিক্স হাউজ প্রকল্প পরিচালনা করছি।
বিউটিশিয়ান সালমা আরো বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে সর্বমোট প্রায় ১০ জন নারীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ভেনাস বিউটি পার্লার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রায় ১’শ ৪৫ জন নারী আত্মনির্ভরশীল হয়েছে। এছাড়াও আমি বরিশাল সমবায় ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট ও একাধিক এনজিও-তে অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।
এই ব্যাপারে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রিন্স বাহউদ্দিন তালুকদার বাসস’কে বলেন, সৎ, উদ্যমী ও আত্মপ্রত্যয়ী এই সালমা আক্তার বর্তমানে পরিক্রমায় বরিশালে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির এক গৌরবময় উদাহরণ। পাশাপাশি তিনি একজন বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষক।
এই প্রসঙ্গে আলাপকালে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর’র পরিচালক মো. শামিম চৌধুরী বাসস’কে বলেন, বরিশালে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী বিউটিশিয়ান সালমা আক্তার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বুটিক্স’র ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের একজন অতিথি বিউটিফিকেশন হিসেবেও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী সালমা আক্তার-এর প্রকল্পে মূলধন প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। তিনি বছরে এই প্রকল্প থেকে আয় করেন প্রায় ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক আরো বলেন, বেকার যুবক ও যুব নারী তরুনদের বিভিন্ন বিষয়ে উপর প্রশিক্ষন প্রদান করে, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। (বাসস)