আদালত স্থানান্তর চ্যালেঞ্জ করা খালেদার রিট শুনানি ১০ জুন

কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার রিটের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গতকাল ২৬ মে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রিটটি দায়ের করেন। গত ১২ মে’র প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও চ্যালেঞ্জ করে চেয়েহাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।

গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি দায়ের করা হয় বলে তিনি জানান।

ওই আইনি নোটিশে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির জন্য পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপন বেআইনি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।

কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেওয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ