২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর, শনিবার। রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা অবৈধ দখল মুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন অফিসের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘন্টা পর তিনি মুক্তি পান। এরপর পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে তিনি ওই এলাকা অবৈধ পার্কিং মুক্ত করেন।
কিন্তু তার মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ না পেরুতেই আবারও দখল হয়ে যেতে শুরু করেছে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও তেজগাঁও শিল্প এলাকার সড়কগুলো। বাস-ট্রাক, পিকআপ-ভ্যান চালকরা রাত হলেই রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং শুরু করছেন।
গত সোমবার ৪ ডিসেম্বর ও মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়কের দুই পাশে কোথাও এক লাইন, কোথাও দুই লাইনে করে বাস ও ট্রাক পার্কিং করা হয়েছে। এতে রাস্তা তার মূল আকারের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।
মহাখালী থেকে মগবাজার ময়মনসিংহ রোড পর্যন্ত সড়কে গিয়ে দেখা যায়, শাহ-ফাতেহ আলী, একতা, নিরালা, সোনার বাংলা, মহানগর, বিনিময়, নিরালা সুপার পরিবহনসহ ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুরগামী বাসগুলো মূল সড়কে দুই লাইনে দাঁড়িয়েছে।
এরকম পার্কিং শুরু হওয়ার কারণে আবারও শুরু হয়েছে অসময়ের জ্যাম। গভীর রাতেও রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।
এর চেয়েও খারাপ অবস্থা তৈরি হচ্ছে নাবিস্কো থেকে গুলশান লিংক রোডসহ শিল্পাঞ্চল এলাকার রাস্তাগুলোতে। এসব রাস্তায় এমনভাবে গাড়ি রাখা হচ্ছে যে তাতে রাস্তার পুরোটাই প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আজকের বাজার:এবি/এলকে ৬ ডিসেম্বর ২০১৭