আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সত্য মেনে নেয়ার সময় এসেছে: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, ইসরাইল যে পশ্চিম তীরের একটি বড় অংশ দখল করার ইচ্ছে পোষণ করছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এখন সেই সত্য মেনে নেয়ার সময় এসেছে যে, তাদের ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ফিলিস্তিনি অধিকার নিয়ে জাতিসংঘের যে কমিটি কাজ করে তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে শাতায়েহ বলেন, এখন যখন ইসরাইলি সরকার দরাজ গলায় খোলাখুলিই বলছে যে তারা ফিলিস্তিনের কিছু অংশ অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে, তখন কোন দেশই কোন অজুহাতে এই অবিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে পারে না। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই বলে আহ্বান জানান যে, ইসরাইল যদি তার দখলের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায় তা হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং দ্বিপাক্ষিক ভাবেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতিসংঘ এখন ফিলিস্তিনকে, সদস্য নয়, এমন পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

২০১৬ সালে গৃহীত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব নম্বর ২৩৩৪ ‘এ ১৯৬৭ সালে দখল করা ভূমির জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিষয়ে কোন রকম পরিবর্তন সাধন নিষিদ্ধ করেছে। এতে ইসরাইলি বসতি স্থাপন বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে যা কীনা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনী।

ইসরাইলে তিন তিনটি নির্বাচনের এবং এক বছর ধরে সেখানে অনিশ্চয়তার পর গত রোববার সেখানে একটি নতুন ঐকমত্যের সরকার শপথ গ্রহণ করলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের তিরিশ শতাংশ এলাকা দখল করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। যার মধ্যে রয়েছে ইসরাইলের স্থাপিত বসতি এবং সেই সব অঞ্চল যার প্রধান জনসংখ্যাই হচ্ছে ফিলিস্তিনি।

১৯৬৭ সালে ৬ দিনের যুদ্ধের পর এখন পর্যন্ত ইসরাইল ঐ অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে । ফিলিস্তিনিরা ঐ অংশটিকে তাদের আগামি রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে এই বলে সমালোচনা করেন যে তিনি কার্যত তাঁর কথিত শতাব্দির সেরা চুক্তিতেই ইসরাইলকে দখল করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।

তবে এ সপ্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইসরাইলে দ্রুত সফরে গিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তাড়াহুড়ো করে ঐ অঞ্চল দখল করতে নিষেধ করেছেন।