গত ২১ অক্টোবর ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি উত্থাপনের পর থেকেই বিসিবি সভাপতি নানাভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। ধর্মঘট ডাকার পর দিন সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের নাম ধরে ধরে ব্যক্তিগত ইস্যু টেনে আনেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর আন্দোলনে নামতে লজ্জা থাকা উচিত ছিল বলে মনে করেন নাজমুল হাসান পাপন।
বিশ্বকাপ থেকে ব্যর্থ টাইগার বাহিনী ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের একদমই নতুন দল আফগানিস্তানের কাছে হেরে বসে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। এ নিয়ে কম সমালোচনা সইতে হয়নি সাকিব-মুশফিকদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হার হতাশার হলেও বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন এখনই যেন গেল গেল রব না তোলা হয়।
সাকিব-রিয়াদদের উপর আস্থা রেখে ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াবে এমন আশাও ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার যে আসলেই মানতে পারেননি নাজমুল হাসান তা সাম্প্রতিক সময়ে তার আচরণ আর মন্তব্যে স্পষ্ট। এমন খবরও পাওয়া গেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের শাস্তি হিসেবে বিপিএলে আইকন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও কমানো হয়েছে।
কিন্তু বিসিবি সভাপতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার নিয়ে এতটাই রাগান্বিত যে ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটকেই বলছেন অযৌক্তিক। উল্টো এমন পারফরম্যান্সের পর লজ্জা থাকা উচিত ছিল বলেও মনে করেন। যেমন উইকেট তৈরির পরিকল্পনা ছিল বিসিবির সেটায় সাকিবের হস্তক্ষেপেই এসেছে বাঁধা। স্পোর্টিং উইকেটের পরিবর্তে খেলা হয়েছে স্পিনিং উইকেটে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় এক জাতীয় দৈনিককে (কালের কণ্ঠ) দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার কথা ছিল। পরে শুনি স্পিনিং উইকেটে খেলবে। আমি তখন বিদেশে, ব্যর্থতার দায়ভারটা কার নেওয়া উচিত? ঘরের মাঠে আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারাই অথচ আফগানিস্তানের কাছে হেরে বসলাম। এমন হলে আমি আন্দোলনতো দূরে থাক, লজ্জায় মুখই দেখাতাম না।’