‘আপন’র গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরতে কমিটি: শঙ্কা কাটেনি ব্যবসায়ীদের

আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে জব্দ করা সোনা গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিতে মধ্যস্ততাকারী পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। কমিটি কাস্টমারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সোনা কীভাবে বুঝিয়ে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচলাক ড. মঈনুল খান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সে বিভিন্ন সময়ে অর্ডার ও বুকিং দিয়েছেন এমন ৩৮৯ জনের তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে। এরমধ্যে ৮৫ জনকে সোনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের সোনা বুঝিয়ে দিতে মধ্যস্ততা কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যদের ওই কমিটিতে রয়েছেন- শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম কমিশনার সাফিউর রহমান, উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন ও উপ-পরিচালক এসএম শরিফুল হাসান এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) একজন ও আপন জুয়েলার্সের একজন প্রতিনিধি।

এদিকে বাজুসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলের ঘটনার পর সারাদেশেই জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা গহনা বানানোর জন্য ঢাকার তাঁতীবাজারে স্বর্ণ নিয়ে আসার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির মুখে পড়ছেন। এমনকি তাঁতীবাজার থেকে গহনা বানিয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আনার সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়। যদিও কাগজপত্র দেখালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গহনা নিয়ে যিনি আসেন তিনি হেয়প্রতিপন্ন হন, পাশাপাশি তাকে ঝুঁকিতে পড়তে হয়।

এদিকে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক কাটছে না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়োলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলের ঘটনার পর সারাদেশেই জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা গহনা বানানোর জন্য ঢাকার তাঁতীবাজারে স্বর্ণ নিয়ে আসার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির মুখে পড়ছেন। এমনকি তাঁতীবাজার থেকে গহনা বানিয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আনার সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, গোল্ড আমদানি করার কোনো সুযোগ সরকার দেয়নি। তবে আমরা বৈধভাবেই স্বর্ণের ব্যবসা করি। পোদ্দারদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে ব্যবসা করি। আমরা বৈধ স্বর্ণ নীতিমালা চাই। একটি ঘটনাকে পুঁজি করে পুরো শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।

ব্যবসায়ী আজাদ আহমেদ বলেন, আপন নাম দিয়ে যে ব্যবসাটি আমরা পরিচালনা করে আসছি তা আমাদের পৈত্রিক ব্যবসা। বংশানুক্রমে এই ব্যবসা এখন আমরা তিন ভাই গুলজার আহমেদ, দিলদার আহমেদ এবং আমি আমরা যার যার স্বতন্ত্র শো-রুম পরিচালনা করছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এক থাকলেও প্রত্যেক ভাইয়ের ব্যবসা স্বতন্ত্র। অর্থাৎ যার যার ব্যবসা সে সে দেখভাল করছে।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৬ জুন ২০১৭