অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা ৩ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন স্থগিত করছে চেম্বার জজ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি ইমান আলীর চেম্বার জজ আদালত সোমবার ১৮ ডিসেম্বর এ আদেশ দেন। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ও আপন জুয়েলার্সের মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন।
এরআগে ১৪ ডিসেম্বর তিন মামলায় দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। আর দুই মামলা মুলতবি রাখেন আদালত।
পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন চেয়ে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ নভেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট। কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না তা রুলে জানতে চাওয়া হয়।
আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত কয়েক সহযোগীকে নিয়ে একটি জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন- এমন অভিযোগ ওঠার পরই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা।
চলতি বছরের মে মাসে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শো রুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ স্বর্ণ এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
এরপর গত ১২ অগাস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মুদ্রাপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দিলদার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গুলশান, ধানমণ্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ বলা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেনি।
এসব মামলায় দিলদার ভাইয়েরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলেও তার মেয়াদ শেষে নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
তিন ভাই ২৪ অক্টোবর ঢাকার মহানগর আদালতে ভিন্ন ভিন্ন হাকিমের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে দিলদার ও তার ভাইয়েরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন
আজকের বাজার: আরআর/ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭