‘আবহাওয়া আইন ২০১৭’ অনুমোদন

আবহাওয়া অধিদপ্তরকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে ‘আবহাওয়া আইন ২০১৭’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

১৩ নভেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরটি এতদিন একটি অধ্যাদেশ দ্বারা চলছিল। এটাকে আইনি কাঠামোয় আনা হয়েছে। নতুন আইনে আগের মতোই পরিচালিত হবে। অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন আইনেও একই।

তিনি জানান, আইনটিতে ৩১ ধারা রয়েছে। আইনের অধীনে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

আইনে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে বিধান রাখা হয়েছে। পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণে ডিভাইস কী হবে সে বিষয়েও বলা আছে। জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, জাতীয় ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরাই এ অধিদপ্তর পরিচালনা করবেন।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলীয়, ভূমণ্ডলীয় ও জলীয় আবহাওয়ার ঘটনাবলি এবং ভূমিকম্প ও ভূচুম্বকীয় বিষয়ে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে। আবহাওয়া সেবা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত রাডার, ভূমিকম্প পরিমাপক ও ভূচুম্বকীয় পর্যাবেক্ষণাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক সকল আবহাওয়া মানচিত্র ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসহ বিশদ ব্যাখা প্রদান করবে। আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত উপাত্তসমূহের আহরণ, গণনা, মান নিয়ন্ত্রণ, বিশ্লেষণ, সংরক্ষণ ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করবে।

আবহাওয়ার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট কোন স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহের গতি প্রকৃতি ইত্যাদি। আবহাওয়ার ঘটনা অর্থে বায়ুমণ্ডলীয়, ভূমণ্ডলীয়, জলীয় আবহাওয়া, বায়ুমণ্ডলের বাইরে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনাকে বোঝাবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জনসাধারণকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের পাশাপাশি কৃষি, নৌযান, জাহাজ চলাচল, নিরাপদ বিমান চলাচল, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী থেকে শুরু করে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও ভূমিধসের আগাম সংকেত দেবে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার ওপর গবেষণা কাজ করবে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৩ নভেম্বর ২০১৭